সেনা সূত্রের খবর প্রকাশ সিং রানার পরিবারের সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তিনি যে ২৯ মে থেকে নিখোঁজ তাও জানান হয়েছে।
গত ১৩ দিন ধরে অরুণাচলের চিন সীমান্তে নিখোঁজ দুই ভারতীয় সেনা। এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। হত ২৮ মে থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না হরেন্দ্র নেগি ও প্রকাশ সিংহ রানার। তাঁরা ভারত-চিন সীমান্তের থাকলা পোস্টে কর্মরত ছিলেন। প্রাকশ সিং রানার নিখোঁজের বিষয়ে সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হলেও নেগির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেয়নি ভারতীয় সেনা। যদিও সূত্রের খবর তিনিও একই দিন থেকে নিখোঁজ রয়েছে।
সেনা সূত্রের পাওয়া খবরে জানা গেছে রানা সপ্তম গাড়ওয়াল রাইফেলসের সদস্য ছিলেন। তিনি রুদ্রপ্রয়াগ জেলার উখিমঠের বাসিন্দা। শুক্রবার প্রকাশের পরিবারের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের সাহসপুরের বিজেপি বিধায়ক সহদেব সিংহ পুন্ডির দেখা করেন নিখোঁজ সেনা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে। বিধায়ক জানিয়েছেন, নিখোঁজ সেনা বাহিনীর সদস্যের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কথা বলবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে।
সেনা সূত্রের খবর প্রকাশ সিং রানার পরিবারের সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তিনি যে ২৯ মে থেকে নিখোঁজ তাও জানান হয়েছে। তাঁর পরিবারের মধ্যেও যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে । প্রকাশ সিং রানা স্ত্রী মমতা ও দুই নাবালক সন্তান অনুজ অনামিকা বাড়িতে রয়েছে। অনুজের বয়স ১০ বছর আর অনামিকা মাত্র ৭ বছরের শিশু কন্যা। গোটা পরিবারের রানার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে।
কয়েক মাস আগেই চিনা সেনা অরুণাচল সীমান্ত থেকে এক স্থানীয় কিশোরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েক দিন পরে সেই কিশোরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ভারতীয় সীমান্ত থেকেই এই কিশোরকে অপহরণ করা হয়েছিল। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ ছিল চিনা সেনা বাহিনীর সদস্যরা। তবে কিশোরকে মারধর করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
তরুণের বাবা জানিয়েছেন, সে ফিরে তাঁকে চিনা সেনাদের অত্যাচারের কথা জানিয়েছে। সে বলেছেন তাঁকে নো-ম্যান্স ল্যান্ড থেকে আটক করেছিল চিনা সেনারা। সেখান থেকেই তাঁর চোখ বেঁধে চিনা সেনার ডোরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তরুণ জানিয়েছে, সে ভুল করে এই জায়গায় চলেগিয়েছিল। এই এলাকা থেকে তার এক কিলোমিটার দূরে থাকার কথা ছিল। তিনি জানিয়েছেন, ছেড়ে দেওয়ার কয়েক মিনিট আগে তরুণের চোখ খোলা হয়েছিল। তরুণের বাবা জানিয়েছেন, খাবার খাওয়ার সময় ও প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার সময়ও চোখ বাঁধা থাকত। সেই সময় শুধু তার হাত খুলে দেওয়া হত।
অপহৃত তরুণের বাবা আরও জানিয়েছে, তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে খোঁচাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছেলেটিকে আটকের দিনগুলি ভালো খাবার খেতে দেওয়া হয়েছিল। প্রতি দিনই তাঁর ছেলেকে মাংস খেতে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তরুণকে একটি গাড়ি করে কিবিথুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর হস্তান্তরের পর তিন দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।