
ইন্ডিগোর জরুরি অবতরণ: দিল্লি থেকে গোয়া যাওয়ার পথে ইন্ডিগোর ফ্লাইট 6E 6271-এর একটি ইঞ্জিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি। ফের বিমান বিপর্যয় মাঝ আকাশে। এরপর এটিকে মুম্বাই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে হয়। এই এয়ারবাস A320 বিমানে মোট ১৯১ জন যাত্রী ছিলেন। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই এখন সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। এই ঘটনাটি রাত ৯:২৫ মিনিটে ঘটে। সেই সময় ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের আগেই বিপদের সংকেত দিয়ে মুম্বাইয়ে ঘুরে যায়। বিমানটিকে সফলভাবে রাত ৯:৫২ মিনিটে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।
বিমানের পাইলট অবতরণের আগে ‘প্যান প্যান প্যান’ বার্তা পাঠান, যা বিমান পরিবহনে ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক জরুরি বার্তা। এটি “মেডে” এর চেয়ে কিছুটা কম গুরুতর পরিস্থিতিকে নির্দেশ করে। 'প্যান' শব্দটি ফরাসি শব্দ “panne” থেকে এসেছে, যার অর্থ হল প্রযুক্তিগত ত্রুটি। যখন বিমানের কোন প্রাণঘাতী বিপদ থাকে না কিন্তু তাৎক্ষণিক প্রযুক্তিগত সহায়তা বা মনোযোগের প্রয়োজন হয়, তখন 'প্যান প্যান' কল ব্যবহার করা হয়। এই ক্ষেত্রে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়েছিল কিন্তু এয়ারবাস A320 নिও-র মত বিমান একটি ইঞ্জিনেই নিরাপদে অবতরণ করতে পারে।
একটি ইঞ্জিনেই অবতরণ করতে পারে A320
এয়ারবাস A320 নियो এর মত বিমান দুটি ইঞ্জিন সম্বলিত। এর মধ্যে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলেও অন্য ইঞ্জিনটি যথেষ্ট নিরাপদ অবতরণের জন্য। এই কারণেই পাইলট পেশাদারিত্বের সাথে, আতঙ্কিত না হয়ে বিমানটিকে সফলভাবে অবতরণ করাতে পেরেছেন।
ইন্ডিগোর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স ইঞ্জিন বিকল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি, তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে। এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র বলেছেন, “১৬ জুলাই দিল্লি থেকে গোয়াগামী ফ্লাইট 6E 6271-এ প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে মুম্বাইয়ে ঘুরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং সকল যাত্রী সুরক্ষিত আছেন।” ফ্লাইটটিকে আবার চালু করার আগে বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় মেরামত করতে হবে।
পাইলটের বিচক্ষণতায় বড় দুর্ঘটনা কাটানো যায়
এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে বিমান যোগাযোগ এবং পাইলট প্রশিক্ষণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ‘প্যান প্যান প্যান’ কল না দেওয়া হতো বা বিলম্ব হতো, তাহলে এই দুর্ঘটনা বড় আকার ধারণ করতে পারত। পাইলটের পেশাদার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং সময়োপযোগী কার্যকলাপের কারণে ১৯১ জন যাত্রীর জীবন রক্ষা পেয়েছে।