
Indore honeymoon murder: ইন্দোরের রাজা রঘুবংশীর মেঘালয়ে রহস্যজনক মৃত্যু এখন এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে রূপান্তরিত হয়েছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে স্ত্রী সোনম রঘুবংশীই ভাড়াটে খুনিদের সহায়তায় এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সোনম গাজীপুর থেকে গ্রেফতার, রাজার মৃতদেহ মেঘালয়ের খাদে পাওয়া গেল
রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ ২ জুন মেঘালয়ের এক দুর্গম খাদে পচা-গলা অবস্থায় পাওয়া যায়। স্ত্রী সোনম ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন, নিজেই তার পরিবারকে ফোন করেছিলেন। এই সূত্র ধরে তাকে উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
হানিমুনের আড়ালে রচিত ষড়যন্ত্র, ৩ ভাড়াটে খুনিও গ্রেফতার
সোনম নিজেই তার পরিবারকে ফোন করেছিলেন, এরপরে তারা ইন্দোর পুলিশকে এই বিষয়ে জানান। এই সূত্রের ভিত্তিতে ইন্দোর পুলিশ গাজীপুরে তাদের সহকর্মীদের সতর্ক করে। সঙ্গে সঙ্গেই সোনমকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আটক করার জন্য ইন্দোর থেকে একটি দল গাজীপুর যাচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে সোনম তার স্বামীর হত্যার পূর্ব পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি মধ্যপ্রদেশের তিনজনকে ভাড়া করেছিলেন, যারা এই ষড়যন্ত্রে সহযোগিতা করেছিল। এখন পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আর একজন আসামি পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনমকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে রাজ কুশওয়াহা নামে এক যুবকের নাম। বিয়ের আগে রাজ নামে ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের। রাজার সঙ্গে বিয়ের পরেও দু’জনের যোগাযোগ ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমিকের কারণেই স্বামীকে খুনের ছক কষেন সোনম। সে জন্য ভাড়াটে খুনিদেরও সাহায্য নেন ওই তরুণী। গত ২০ মে নবদম্পতি মধুচন্দ্রিমায় যান। আগে থেকে সব পরিকল্পনা করাই ছিল। পূর্ব-পরিকল্পনা মাফিক ২৩ মে স্বামী রাজাকে খুন করান তিনি। তার পর গা-ঢাকা দেন নিজেও।
ভাড়ার স্কুটার থেকে খুলল খুনের রহস্যের প্রথম স্তর
২৩ মে দম্পতি নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ তাদের স্কুটার সোহরারিম এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পায়। স্কুটারের চাবিও লাগানো ছিল। এই সূত্রই পুলিশকে খুুনের তত্ত্ব সম্পর্কে অনুমান করতে সাহায্য করে, এবং কিছুদিনের মধ্যেই পুরো ষড়যন্ত্র সামনে চলে আসে।
স্থানীয় গাইডের সাক্ষ্যে মিলল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
একজন স্থানীয় পর্যটন গাইড জানিয়েছেন যে সোনম এবং রাজাকে শেষবার তিনজন অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মোটিভ নিয়ে তদন্ত চালাতে শুরু করে।
পুলিশের তৎপরতায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা টুইট করে বলেছেন –“রাজা হত্যাকাণ্ডে পুলিশ ৭ দিনের মধ্যে বড় সাফল্য পেয়েছে। সোনম এবং অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও একজন আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।”
প্রেম, প্রতারণা এবং খুন: রহস্যে মোড়া নাটকীয় গল্প
বর্তমানে রাজার স্ত্রী সোনম কিছু বলছেন না। মেঘালয় থেকে পুলিশ আসছে। এসপি সিটি জ্ঞানেন্দ্রনাথ প্রসাদ জানিয়েছেন যে মহিলাকে ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখা হয়েছে। তিনি কিছু বলছেন না। মেঘালয় পুলিশকে জানানো হয়েছে। এক স্বপ্নের হানিমুন যে স্বপ্ন দিয়ে শুরু হয়েছিল, তার শেষ হল এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে। স্ত্রীর প্রেম কাহিনীর আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র, যা সম্পর্কের গভীরতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল।