তদন্ত কমিটির সদস্যের অনুমান, একটি মাত্র আলমারি পাওয়া গেছে। অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার মোহন্তি জানিয়েছেন, তিনি বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে চুরি হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সরকারি তদন্ত কমিটি। সরকারি তদন্ত কমিটির সদস্য জগদীশ মোহান্তি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, রত্নভাণ্ডার থেকে মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে। তাঁর অনুমান ২০১৮ সালে মূল চাবি হারিয়ে গেছে। তাই নকল চাবি দিয়ে রত্নভাণ্ডার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে মূল্যবন সামগ্রী। সোমবার পুরীতে কমিটির চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। তাকপরই মোহন্তি বলেছিলেন যে জাল চাবি নষ্ট হওয়ার পরে তালা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই ফাঁক দিয়েই মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করা হয়েছে বলেও তাঁর অনুমান। তিনি এখনও চুরির বিষয়টিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
তদন্ত কমিটির সদস্যের অনুমান, একটি মাত্র আলমারি পাওয়া গেছে। অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার মোহন্তি জানিয়েছেন, তিনি বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, কমিটি একটি ফৌজদারী তদন্ত শুরু করার জন্য সরকারকে সুপারিশ করতে পারেন। মোহন্তি বলেন, মন্দির প্রশাসন তাঁদের সন্দেহের কথা সরকারকে জানাতে পারে। তিনি বলেন, গত ১৪ জুলাই ভিতরের চেম্বারের ভিতরে কয়েকটি স্টিলের বাক্স খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়।। ভিতরের ঘরে তিনটি কাঠের তাক, একটি স্টিলের আলমারি , দুটি কাঠের বাক্স ও একটি লোহার বাক্স ছিল। মন্দির প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, একটি মাত্র কাঠের আলমারি তালা বন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
গত ১৪ জুলাই , প্রশাসনের কাছে পাওয়া দুটি জাল চাবি কাজ না করলেও কমিটি সদস্যরা নির্দেশ দেন রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের কক্ষের তিনটি তালা ভেঙে দেওয়ার। ২০১৮ সালে কী কী ছিল আর কী কী ছিল না তা জানার প্রয়োজন রয়েছে। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রত্ন ভাণ্ডারে চুরি হয়েছে কিনা। ১১ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভা নির্বাচনের জাল চাবি নিয়ে তৎকালীন ওড়িশা সরকারকে নিশানা করেছিলেন। মোদী বলেছিলেন, চাবি হারিয়ে যাওয়া একটি গুরুতর বিষয়। দেবতার রত্ন চুরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।