পরিবারের প্রথম গ্র্যাজুয়েট, তিনিই 'রকেটম্যান'! সম্মানিত চন্দ্রযানের সাফল্য়ের প্রাণ পুরুষ

  • ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবানকে এপিজে আব্দুল কালাম পুরস্কার দিল তামিলনাড়ু সরকার
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্যই তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হল
  • তাঁর তত্ত্বাবধানেই সফল উৎক্ষেপন হয়েছে চন্দ্রযান ২-এর
  • এছাড়া ছয় মাত্রিক ট্র্যাজেক্টরি সিমুলেশন সফটওয়ার তৈরিতেও তিনিই ছিলেন প্রধান ব্যক্তি

 

amartya lahiri | Published : Aug 22, 2019 12:51 PM IST

সদ্যই চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে ভারতের চন্দ্রযান ২। আর এই সাফল্যের আবহেই পুরস্কৃত হলেন ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানের পিছনে থাকা প্রধান মানুষটি। বৃহস্পতিবার ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবানকে এপিজে আব্দুল কালাম আজাদ পুরস্কার দিল তামিলনাড়ু সরকার।

আগেই তামিলনাড়ু সরকারে পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশে অসামান্য অবদানের জন্য এই বছর পুরস্কৃত করা হবে শিবানকে। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পলানিস্বামীর হাত থেকে এই পুরস্কার নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি ব্যস্ত থাকায় জানানো হয়েছিল, পরে একদিন মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে তিনি পুরস্কার নেবেন।

সেই কথা মতোই এদিন তামিলনাড়ুর সেক্রেটারিয়েটে আসেন কে শিবান. সেখানে পলানিস্বামী তাঁর হাতে আট গ্রাম সোনার মেডাল, ৫ লক্ষ টাকা নগদ ও শংসাপত্র তুলে দেন। বিজ্ঞানের বিকাশ, মানবিকতা এবং ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে কাজ করার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। শর্ত হল পুরস্কার প্রাপককে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা হতে হবে।

৬২ বছরের শিবানের অধীনে ইসরো অনেক সাফল্য পেয়েছে। চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপন তো আছেই, তাছাড়া ছয় মাত্রিক ট্র্যাজেক্টরি সিমুলেশন সফটওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রেও তিনিই ছিলেন প্রধান স্থপতি। যে কারণে তাঁকে রকেটম্যানও বলা হয়। শুনলে অবাক লাগতে পারে, ৬২ বছরের শিবানই কিন্তু তাঁদের পরিবারের প্রথম ব্যক্তি যিনি কলেজের গণ্ডি পার করেছিলেন।   

 

Share this article
click me!