
দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে ত্রিপুরায় টিপরা মোথাই বিজেপি কাছে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ম্যাজিক ফিগারের থেকে একটি মাত্র বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি জোট। এই অবস্থায় টিপরা মোথা দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে ১৩টি আসন পেয়েছে। সরকার গঠন করলে টিপরা মোথা যদি সহযোগিতা করে তাহেল বিজেপির আর কোনও সমস্যা নেই। তেমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই অবস্থা টিপরা মোথার সঙ্গে কথা বলতে বিজেপি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেছেন, টিপরা মোথা যেসব দাবিগুলি তুলছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
ত্রিপুরার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা। সেথানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে টিপরা মোথা নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'টিপরা মোথার উত্থাপিত বিষয়গুলি আলোচনা করা প্রয়োজন। আমি আশা করি নতুন সরকার অবশ্যই সব কথা শুনবে। এখন নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। এখন একসঙ্গে কাজ করা যেতে পারে। আদিবাসীদের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসা যেতে পারে।' তিনি আরও বলেন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গোটা দেশেই উন্নয়ন হচ্ছে। জনগণও মোদীর নেতৃত্বের প্রতি ভরসা রেখেছে তা আরও একবার প্রমাণিত হল।
টিপরা মোথা, ত্রিপুরার দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, সরকারে যোগদানের জন্য বিজেপির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, এই বলে যে এটি 'বৃহত্তর টিপ্রাল্যান্ড' - একটি পৃথক রাজ্য যা এটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য দাবি করে তার লিখিত আশ্বাসের প্রয়োজন৷ টিপরা প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মা আরও বলেছিলেন, তাঁরা গঠনমূলক বিরোধিতা করবেন। শাসকদল বিজেপি ও বিরোধী বাম - কংগ্রেসের জোটের থেকে সমান দীরত্ব বজায় রাখবে। কোনও দলের সঙ্গেই তারা যাবে না। টিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে কেন্দ্র করেই নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে টিরপা মোথা। তাই সেই দাবি থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্ন নেই বলেও দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দিয়েছে। বিধানসভা ভোটে টিপরা মোথা ১৩টি আসন পেয়েছে।
হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে এই অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাল কাজের কারণে মিজোরাম বাদে সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় শপথ অনুষ্ঠান হবে ৮ মার্চ, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ত্রিপুরায় নতুন সরকার নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা মোকাবেলা করবে, এবং পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে, তিনি বলেছিলেন।