জাভেদ আখতার বৃহস্পতিবার রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্রের নবনির্মাণ সেনা আয়োজিত দীপোৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি হিন্দু ধর্মের প্রশংসা করেন
প্রবীণ কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতার এবার সম্পূর্ণ অন্য পথে হাঁটলেন। তিনি এবার হিন্দু ধর্মের ভূয়সী প্রশাংসা করেন। তিনি বলেন, 'হিন্দু সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কারণে ভারতে গণতন্ত্র বিদ্যমান।' তিনি স্পষ্ট কথায় হিন্দু ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রশংসা করেন।
জাভেদ আখতার বৃহস্পতিবার রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্রের নবনির্মাণ সেনা আয়োজিত দীপোৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি হিন্দু ধর্মের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, হিন্দুরা বরাবরই উদার ও বড় মনের মানুষ। কিছু মানুষ রয়েছে যারা সর্বদাই অসহিষ্ণু হয়ে থাকে। কিন্তু হিন্দুরা এমন নয়। হিন্দুদের মধ্যে বরাবরই উদারতা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি হিন্দুদের এই বিষয়টি হারিয়ে না ফেলার আহ্বান জানান। বলেন, এটি হারাবেন না। না হলে আপনি অন্যদের মত হয়ে যাবেন। ৭৮ বছরের জাভেদ আখতার বরাবরই স্পষ্ট করে কথা বলতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করার জন্য পরিচিত মুখ।
দিওয়ালি ধাকামা হবে সলমন খানের টাইগার ৩? পাঠানের তুলনায় কতটা পিছিয়ে স্পাই থ্রিলার
এদিন জাভেদ আখতার প্রগতিশীল ও উদার মুসলিমদের কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'আমরা হিন্দুদের জীবনযাপনের পদ্ধতি থেকে শিখেছি। আপনি কি তা ছেড়ে দেবেন?'জাভেদ আখতার আরও বলেন, ভগবান রাম ও সীতার দেশে জন্ম নিয়ে তিনিও গর্বিত। নাস্তিক হয়েও তিনি রাম-সীতাকে এই দেশেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, 'রামায়ণ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।' এই দিনের অনুষ্ঠানে তিনি একাধিকবার 'জয় শ্রীরাম ' স্লোগানও দেনও।
মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এথিক্স কমিটির, রিপোর্ট পেশ স্পিকারের কাছে
তবে জাভেদ আখতার হিন্দুদের প্রবল প্রশংসা করলেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কমে গেছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'এটা হিন্দু সংস্কৃতি। এটাই সভ্যতা । এটা আমাদের গণতন্ত্রিক মনভাব তৈরি করেছে।' তিনি বলেন, আমরাই ঠিক আর বাকি সবাই ভুল এটা ভাবা কখনই ঠিক নয়। তিনি বলেন যুক্তি দিয়ে সবকিছু বিচার আর বিশ্লেষণ করে দেখা উচিৎ। তারপরই সেই মতামত গ্রহণ করা জরুরি।
wife swapping: স্ত্রী অদলবদলের নামে রমরমা যৌনব্যবসা, পর্দা-ফাঁস করল পুলিশ
এদিনের অনুষ্ঠানে শোলে নিয়েও কথা বলেন জাভেদ আখতার। সেলিম খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে এই চিত্রনাট্য় লিখেছিলেন তিনি। এটি তাঁর জীবনে একটি মাইলস্টোন। তিনি বলেন, শোলে যদি এখনকার দিনে তৈরি হত তাহলে মন্দিরে হেমা মালিনী আর ধর্মেন্দ্রের যে কথোপথন রয়েছে তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হত।