২০৩১ সালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন বাঙালি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। তিনি দীর্ঘদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। এই বছর মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। জয়মাল্য বাগচীকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এই মুহূর্তে দুই জন বিচারপতি বাঙালি। অন্য়জন দীপঙ্ক দত্ত।
DID YOU KNOW ?
জয়মাল্য বাগচী কে?
জয়মাল্য বাগচী বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। ২০৩১ সালে তিনি হবেন দেশের প্রধান বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন তিনি।
25
পাঁচ মাসের মেয়াদে প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে জয়মাল্য বাগচীর মেয়াদ হবে পাঁচ মাস। তবে জয়মাল্য বাগচীর ক্ষেত্রে একটি ব্যাতীক্রম রয়েছে। সাধারণত দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে থেকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। কিন্তু জয়মাল্য বাগচী কখনও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হননি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত মেধা, সতর্কতা, কর্মদক্ষতা, সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার মত বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এগুলির সূত্র ধরেই জয়মাল্য বাগচীর নাম বিবেচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলিজিয়াম।
35
১৩ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে জয়মাল্য বাগচীর অভিজ্ঞতা ১৩ বছরের বেশি। ২০২২সালের ২৭ জডুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত গন। ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হয় তাঁকে। এই বছরই ৮ নভেম্বর ফিরিয়ে আনা হয় কলকাতায়। ২০৩১ সালের ২৬ মে দেশের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন জয়মাল্য বাগচী। এই বছরই ৮ অক্টোবর তাঁর অবসরগ্রহণের কথা রয়েছে।
কলকাতায় ১০৬৬ সালে জন্ম জয়মাল্য বাগচীর। তাঁর বাবা ছিলেন আইনজীবী। মা ছিলেন চিকিৎসক। কলকাতা বয়েজ স্কুল ও পরবর্তীকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল থেকে পড়াশুনা করেছেন। ১০৯১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ বার অ্য়াসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হন।
55
আইন বিশেষজ্ঞ জয়মাল্য বাগচী
বাংলাদেশি লেখিকা তলসিমা নাসরিনের লেখা দ্বিখণ্ডিতো বইটির ওপর সেই সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বাম সরকার। তারই বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে সওয়াল করেছিলেন। পরে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও বিচারপতি হিসেবে একাধিক মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাঁর রায়দান।