জলপাইগুড়ি শহরের বাবুপাড়ার সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি ও কার্যালয় ক্লাব ঘিরে এখন রীতিমতো চাঞ্চল্য। এক বছর ধরে বন্ধ থাকা ক্লাবের দরজা খুলতেই উদ্ধার হল নরকঙ্কাল।
কয়েকদিন থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। বন্ধ ক্লাবের দরজা খুলতেই বেরিয়ে এল কঙ্কাল? রহস্যজনক এই ঘটনায় শোরগোল জলপাইগুড়ির বাবুপাড়া এলাকায়। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে তখন ক্লাব ঘরের দরজা খুলতেই মিলল কঙ্কাল। কোথা থেকে এল? কিসের বা কার কঙ্কাল? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
জলপাইগুড়ি শহরের বাবুপাড়ার সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি ও কার্যালয় ক্লাব ঘিরে এখন রীতিমতো চাঞ্চল্য। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ ছিল ওই ক্লাব। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করতে সদস্যরা এদিন সকালে ক্লাবের দরজা খুলতেই চমকে ওঠেন। ভেতরে একটি চৌকির নিচে পড়ে রয়েছে মানুষের কঙ্কাল। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়, ভিড় জমে চারপাশে।
ক্লাবের এক সদস্য বলেন, “আমরা দুর্গাপুজোর আয়োজনের জন্য ক্লাব খুলতেই দেখি চৌকির নিচে কঙ্কাল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই।” এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে ক্লাব ঘরের দিক থেকে পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। তবে দীর্ঘদিন ক্লাব বন্ধ থাকায় তা নিয়ে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “গন্ধ পেলেও ভেবেছিলাম হয়তো ইঁদুর বা বিড়ালের লাশ। কিন্তু আজ চোখে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।”
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পরে উপ পৌরপতি সৈকত চ্যাটার্জীও সেখানে যান। তিনি বলেন, “কঙ্কালটি কীভাবে এল, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। ফরেনসিক টিম এসে পরীক্ষা করলেই জানা যাবে আসল সত্যি। এটা খুন নাকি অন্য কিছু, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।”
পুলিশ ইতিমধ্যেই কঙ্কাল উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ছেলে বা মেয়ের কঙ্কাল কিনা, বা কতদিন আগের তা জানতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের উপরই নির্ভর করছে তদন্ত। দুর্গাপুজোর আনন্দঘন মুহূর্তে এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক ও কৌতূহল দুই-ই। স্থানীয়দের আশা, দ্রুত তদন্তে বেরিয়ে আসবে কঙ্কালের রহস্য!


