জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি জিয়ে রাখতে একের পর এক পদক্ষেপ করেই চলছে পাকিস্তান। কেন্দ্র শাসিত এই এলাকায় নিরাপত্তা যত বাড়ানো হচ্ছে জঙ্গিদের সহযোগিতা করতে ততই নতুন নতুন ব্যবস্থা করছে পাকিস্তান। জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, রাতের অন্ধকারে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করছে পাকিস্তানের ড্রোন। ভারতের মাটিতে ফেলা হচ্ছে অস্ত্র। জন্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে, দুটি অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল আর তিনটি একে ম্যাগাজিন আর ৯০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি জঙ্গিদের কাছে একে-৪৭ এর মত অস্ত্র পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সীমান্ত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে আখনূর গ্রাম। সেই গ্রাম থেকেই উদ্ধার হয়েছে এই মারাত্ম আগ্নেয়াস্ত্র। এই অস্ত্রগুলি সন্ত্রাসবাদীদের হাতে পৌঁছে দেওয়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য। পুলিশ জানিয়েছে তাদের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে, যে ড্রোনের মাধ্যমে এই সব অস্ত্র নজরদারি পেরিয়ে সীমান্ত পার করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে জইশ ই মহম্মদের জঙ্গিদের। গোটা এলাকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি।
গত সপ্তাহেই জঙ্গিদের একটি নাশকতার ছক বানচাল করেছেল দায়িত্ব প্রাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী। পুলওয়ামার জম্মু কাশ্মীর জাতীয় সড়কের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর বিস্ফোরক। সেনা বাহিনী সূত্রে জানান হয়েছে, বিস্ফোরকগুলি একটি বড় সিনটেস্কের ট্যাঙ্কের করে রাখা হয়েছিল। উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ৫২ কেজি বিস্ফোরক। যেগুলি ৪১৬টি প্যাকেটে করে রাখা হয়েছে। আর সেই জায়গাটি ছিল ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার স্থানের খুব কাছেই। চলতে বছর ভারতীয় জওয়ানদের দাপটের সামনে কিছুটা হলেও মাথা নত করতে হয়েছে সন্ত্রাসবাসীদের। কারণ জঙ্গি সংগঠনের বেশ কয়েকটি বড় মাথাকে ইতিমধ্যেই নিকেশ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলওয়ামাকাণ্ডের চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে।