জেএনইউ পর্যন্ত পৌঁছলেও ভিতরে প্রবেশ করতে পারলেন না তৃণমূল নেতা এবং সাংসদরা। পুলিশের বাধাতেই জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি দীনেশ ত্রিবেদীরা। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেই অবস্থানে বসেন তৃণমূল সাংসদরা।
রবিবার রাতে জেএনইউ ক্যাম্পাসের ভিতরে হস্টেলে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উপরে বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত হয় প্রায় ৩৫জন পড়ুয়া। ঘটনার পর পরই টুইট করে এই হামলার তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানান, দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবারই দিল্লি গিয়ে আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াবে। সেই মতোই এ দিন সকালে কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা দেনি তৃণমূল নেতারা। দুপুরের মধ্যেই জেএমইউ- এর সামনে পোঁছে যান তাঁরা। প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে দলে ছিলেন শান্তনু সেন, মানস ভুঁইয়া, সাজদা আহমেদ ও বিবেক গুপ্ত।
আরও পড়ুন- জেএনইউ-তে 'ফ্যাসিস্ট আক্রমণ' দেখছেন মমতা, যাদবপুরে বাবুল নিগ্রহ মনে করালেন দিলীপ
কিন্তু এ দিন জেএনইউ-এর সামনে পৌঁছতেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকায় পুলিশ। তাঁদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের বচসাও বাধে। তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদীর অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে পুলিশ।
দীনেশ ত্রিবেদী পরে বলেন, 'এখানে অনেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এসেছেন। সবাইকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। শুধু আমাদেরকে বাধা দেওয়া হল। তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশাসন ভয় পায়। এটা পুরোপুরি অগণতান্ত্রিক। সন্ত্রাসবাদীদের মতো মুখোশ পরে এসে দুর্বৃত্তরা ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়ে গেল। আমরা তো মুখোশ পরে আসিনি। এলে হয়তো পুলিশ ভিতরে যেতে দিত।'
প্রতিনিধি দলে থাকা রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-র কাছে জাতীয় আতঙ্ক। তাই তাঁর সৈনিকদের আটকে দেওয়া হলো। মুখ ঢেকে এসে দুষ্কৃতীরা এসে ছেলেমেয়েদর উপরে অত্যাচার চালালো। আমরা জনপ্রতিনিধি, আমাদেরকেই আটকে দেওয়া হলো। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহানুভূতি, সমর্থন পৌঁছে দিতে এসেছিলাম।'
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে বলেন, 'যেভাবে ফ্যাসিস্ট কায়দায় পড়ুয়া, অধ্যাপকদের উপরে হামলা করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধি দলকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। সেটা আইনের বিষয়। ঢুকতে দিল কি না দিল তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আমরা পড়ুয়াদের আন্দোলনের পাশে আছি।'