উপযুক্ত সম্মানের সঙ্গে সারা দেশে পালিত হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবস। ১৯৯৯ সালের ২৬শে জুলাই পাক হানাদার বাহিনীকে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণভাবে হটিয়ে দিতে সক্ষম হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের কার্গিল পার্বত্য অঞ্চলের সেই লড়াইয়ে শহীদ হন ৫২৭জন ভারতীয় জওয়ান। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনটিতে কার্গিলের অমর জওয়ানদের অক্ষয় স্মৃতির উদ্দেশ্যে পালিত হয় কার্গিল বিজয় দিবস।
ভারতের রাষ্ট্রপতি তথা সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রামনাথ কোবিন্দের হাত ধরে শুভ সূচনা হয় এবারের কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপনের। খারাপ আবহাওয়ার জন্য দ্রাস ওয়ার মেমোরিয়ালে তাঁর হেলিকপ্টার ল্যান্ড করতে না পারায়, জম্মু কাশ্মীরের বাদামী বাগে তিনি অমর জওয়ানদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সমস্ত ছাঁউনিতে সাড়ম্বরে কার্গিল বিজয় দিবস পালিত হলেও, দ্রাস-কার্গিল সেক্টর এবং দিল্লির অমর জওয়ান জ্যোতি ওয়ার মেমোরিয়ালে বিশেষ উদ্দীপনার সঙ্গে এই দিনটি পালন করেন সেনা জওয়ানরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে কার্গিল যুদ্ধে শহীদ সেনা জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানান। তিনি যুদ্ধের সময়কার কিছু ছবিও শেয়ার করেন। তিনি জানান সেই সময় সীমান্তে কর্মরত সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য তাঁর হয়, এবং সেই স্মৃতি চিরদিনই তাঁর মনে অক্ষয় হয়ে রয়েছে। আজ এতগুলো বছর পরে তিনি সেই অমূল্য স্মৃতি দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। প্রসঙ্গত তিনি জানান যুদ্ধের সময় তিনি জম্মু কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে দলীয় সংগঠনের কাজে নিযুক্ত ছিলেন।
দিল্লির ন্যাশেনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে কার্গিল বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি একটি টুইটার বিবৃতিতে জানান যে কার্গিল যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ সারা দেশের মানুষের কাছেই অনুপ্রেরণা। দ্রাস ওয়ার মেমরিয়ায়ালে শ্রদ্ধা জানান সেনা প্রধান বিপিন সিং রাওয়াত। তিনি দাবি করেন ভবিষ্যতে যদি পকিস্তান কখনও ফের সীমান্ত পেড়িয়ে এদেশে ঢোকার দুঃসাহস দেখায়, তাহলে তার পরিণতি তাঁদের জন্য ভয়াবহ হবে। একজন পাক জওয়ানও জীবিত নিজের দেশে ফিরে যেতে পারবেনা বলে তিনি জানান। এছাড়াও কার্গিলের শহিদ-দের স্মৃতির উদ্দেশ্যে টুইটারে শ্রদ্ধা জানান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং প্রমুখ রাষ্ট্রনেতা।