রাজ্যপাল বাজুভাই ভালা সময় দিয়েছিলেন শুক্রবার বেলা ১.৩০ পর্যন্ত। কিন্তু, তারপরেও কর্নাটক বিধায়সভায় আস্থাভোট গ্রহণ হল না। ফের বিভিন্ন আলোচনায় সম কাটিয়ে দিলেন শাসক জোটের নেতারা। রাজ্যপালের নির্দেশ নিয়ে রীতিমতো ব্য়াডমিন্টন খেললেন মুখ্য়মন্ত্রী ও স্পিকার। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বললেন , স্পিকার ঠিক করুণ রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও নির্দেশ দিতে পারেন কিনা। আর স্পিকার বললেন, রাজ্যপালের চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই তিনি তার উত্তর দেবেন কি দেবেন না, তা, মুখ্যমন্ত্রীকেই ঠিক করতে হবে। আর এরপরই বেলা ৩টে পর্যন্ত মুলতুবি রাখা হল বিধানসভা।
এদিন শুরুতেই বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্থাব নিয়ে আলোচনা করতে ওঠেন কুমারস্বামী। তিনি বলেন, বিজেপি অনাস্থা ভোটের জন্য অধৈর্য হলেও এই বিষয়ে বিতর্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি স,রাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে ৪০-৫০ কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার অভিযোগ করেন। শুধু তিনিই নন, জেডিএস বিধায়ক শ্রীনিবাস গৌড়া সরাসরি দুই বিজেপি বিধায়ক ও এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তাঁকে ৫০ কোটি টাকার টোপ দেওয়ার অভিযোগ জানান। এই নিয়ে বিধানসভায় শুরু হয়ে যায় তীব্র বাদানুবাদ।
আরো পড়ুন - বেলা ১.৩০ পর্যন্ত সময় কুমারস্বামীর! শাসকের ভরসা স্পিকার, বিজেপির রাজ্যপাল
আরও পড়ুন - আস্থাভোটে জিততে বিধায়ক অপহরণ! বিজেপির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
আরও পড়ুন - বিজেপির সব চেষ্টাই ব্যর্থ, আস্থাভোট এড়িয়েই গেল কংগ্রেস-জেডিএস! সারারাত চলবে ধরনা
এদিকে যে শ্রীমন্ত প্যাটেলকে বিজেপি অপহরণ করেছিল বলে কংগ্রেস পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল, তাঁর সঙ্গে এদিন বেঙ্গালুরু পুলিশ যোগাযোগ করে। তিনি স্পিকারকে একটি চিঠি লিখে জানান, তাঁকে বিজেপি অপহরণ করেনি। তিনি আত্মীয়দের পরামর্শেই মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অসুস্থতার কারণেই কয়েকদিন তিনি বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন এই কংগ্রেস বিধায়ক।