মাঝরাতে বাথরুমের মধ্যেই প্রবল হৃদরোগ, প্রয়াত কর্ণাটকের খাদ্যমন্ত্রী

রাতেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কর্ণাটকের খাদ্য়মন্ত্রীকে। কিন্তু, সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। চিকিৎসকরা উমেশ কাত্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। এমন এক খবরে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ কর্ণাটকের বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। অনেকেই শেয়ার করছেন উমেশের সঙ্গে কাটানোর শেষ মুহূর্তের অভিজ্ঞতা। 

প্রয়াত হলেন কর্নাটকের খাদ্যমন্ত্রী উমেশ কাট্টি। বুধবার রাতেই বেঙ্গালুরুর ডালাস কলোনির বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সূত্রের খবর, রাতে তিনি বাথরুমে যান। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ উমেশ-কে বেঙ্গালুরুর রামাইয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উমেশ কাট্টি খাদ্যমন্ত্রী হত্তয়ার পাশাপাশি নাগরিক সরবরাহ এবং উপভোক্তা অধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। স্ত্রী এবং এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে উমেশের। স্বাভাবিকভাবেই এই আকস্মিক প্রয়াণের খবর সকলকে নিকটজন ও পরিবারকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। মৃত্যুকালে উমেশের বয়স হয়েছিল ৬১। 

কর্ণাটকের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোক জানান, হাসপাতালে উমেশ-কে নিয়ে যাওয়ার আগে থেকেই তাঁর পালস্ নিঃসাড় হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, উমেশ-এর অকাল প্রয়াণে বিজেপি  এক অন্যতম সম্পদ হারিয়েছে। তাঁর প্রয়াণকালে হাসপাতালেই একে একে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের জলদপ্তর মন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী-সহ কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই। তিনি উমেশের প্রয়াণে জানান, এক ভাইকে হারিয়েছেন তিনি। উমেশের চলে যাওয়াটা কর্ণাটক বিজেপি-র পক্ষে এক বড় ক্ষতি বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।  তিনি আরও জানান যে, উমেশের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। কিন্তু, তা বলে এমনভাবে ও এত তাড়াতাড়ি ও চবে যাবে সেটা ভাবাই যায়নি বলেও মন্তব্য করেন বোম্মাই। 

Latest Videos

জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে উমেশ ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। তিনি আটবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমেই বারবার সন্তুষ্ট হয়েছে জনতা। উমেশ-এর  প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর এলাকার সাধারণ মানুষও। রাজ্যের তরফে উমেশকে সম্মান জ্ঞাপনের উদ্দ্যেশ্যে শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার কর্ণাটকে সরকারের তরফে কোনও আনন্দ মূলক অনুষ্ঠান করা হবে না। ভারতের জাতীয় পতাকাও অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী অশ্বথনারায়ণ সিএন বলেন, উমেশের মতো মানুষ খুব কমই রয়েছে, খুব কম কথা বলত। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিল। মানুষের জন্য উমেশ সবসময়ে কাজ করে গিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন অশ্বথনারায়ণ। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Naihati-তে কার পাল্লা ভারী? ফল ঘোষণার আগে উত্তেজনা তুঙ্গে গোটা এলাকায় | Naihati By Election Results
'কয়লার ৭৫ ভাগ তৃণমূলের (TMC) পকেটে যায়' বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
Bear Rescue Operation | বরফের মধ্যে ভাল্লুকের প্রান বাঁচাল ভারতীয় সেনা, দেখুন দুঃসাহসিক ভিডিও
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul