Students Bullying Teacher: মাথায় ডাস্টবিন, ছাত্রদের হাতে চূড়ান্ত হেনস্থা প্রৌঢ় শিক্ষকের - দেখুন

Published : Dec 14, 2021, 04:50 PM IST
Students Bullying Teacher: মাথায় ডাস্টবিন, ছাত্রদের হাতে চূড়ান্ত হেনস্থা প্রৌঢ় শিক্ষকের - দেখুন

সংক্ষিপ্ত

কর্ণাটকের (Karnataka) দেবনাগরী জেলায় (Devanagari district) এক সরকারি বিদ্যালয়ে ক্লাসরুমের ভিতরেই ছাত্রদের হাতে চূড়ান্ত হেনস্থা হলেন এক প্রৌঢ় শিক্ষক। ভিডিও ভাইরাল হতেই, ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। 

এই ভিডিও দেখার পর লজ্জায় সকলের মাথা নিচে ঝুঁকে গিয়েছে। গোটা সমাজ শিক্ষকদের (Teacher) শ্রদ্ধার চোখে দেখে। অথচ, বর্তমানে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে, যেখানে এক প্রৌঢ় শিক্ষককে, ক্লাসরুমের ভিতরেই ছাত্রদের হাতে চূড়ান্ত হেনস্থা হতে দেখা যাচ্ছে। এমনকী, সেই ছাত্রদের ওই প্রৌঢ় শিক্ষকের মাথায় ময়লার বালতি ঢুকিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে। আর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই, ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নেট দুনিয়া। দুষ্কর্মে যুক্ত ছাত্রদের শাস্তি দেওয়ার, এমনকী তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও করা হয়েছে। নিগৃহীত শিক্ষক অবশ্য ওই ছাত্রদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, কেন শিক্ষক সম্প্রদায়কে আলাদা চোখে দেখা হয়। 

ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহের সোমবার (৬ ডিসেম্বর), কর্ণাটকের (Karnataka) দেবনাগরী জেলায় (Devanagari district), নেল্লারু সরকারি বিদ্যালয়ে (Nellaru Government School)। নিগৃহীত শিক্ষকের নাম প্রকাশ বোগার (Prakash Bogar), বয়স ৫৯, পরের বছরই অবসর নেবেন। হিন্দি ভাষার এই শিক্ষককে তাঁর শিক্ষকতা জীবনের সায়াহ্নে এসে, চূড়ান্ত হেনস্থা হতে হয়েছে দশম শ্রেনীর ৫ জন ছাত্রের হাতে, এমনটাই অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বাকি ছাত্ররাও এই ঘটনার ভরপুর মজা নিয়েছে, কেউ প্রতিবাদটুকু করেনি। তবে, ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। 

কী দেখা গিয়েছে সেই ভাইরাল ভিডিওয়? দেখা যাচ্ছে ক্লাসরুমে ঢুকে হিন্দি শিক্ষক (Hindi Teacher) প্রকাশ, ব্ল্যাকবোর্ডে কিছু লেখা শুরু করতেই তিনজন ছাত্র, তাঁর মাথায় ডাস্টবিন থেকে ময়লা ফেলছে। তারপর সেই ডাস্টবিনটা তাঁর মাথায় পরিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছে। এরপর এক ছাত্রকে দেখা যাচ্ছে তাঁর মাথায়ে পিছন থেকে চড় মারতে, একটু পরে সে পিছন থেকে প্রকাশ বোগারের প্যান্ট খুলে দেওয়ার চেষ্টাও করে। এখানেই শেষ নয়, ওই শিক্ষক পরে চেয়ারে গিয়ে বসলে, শিক্ষার্থীদের দেখা যায় ওই শিক্ষকের কলার ধরে তাঁকে হুমকি দিতে। এমনকী একজনকে সেই ময়লার পাত্রটি উঁচিয়ে তাঁকে মারতে উদ্যত হতেও দেখা গিয়েছে। শেষে আবার তাঁর মাথায় ডাস্টবিনটি পরিয়ে দিয়ে ছাত্ররা ছুটে পালায়। বাকি ছাত্ররা হাসাহাসি করেছে, মোবাইল ফোনে শিক্ষকের নাকাল হওয়ার দৃশ্য ভিডিও রেকর্ড করেছে। 

দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও -

কেন এমন করল ছাত্ররা? জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ ডিসেম্বর। ওইদিন শিক্ষক প্রকাশ বগার, শ্রেণীকক্ষটি গুটখার প্যাকেটে ভর্তি, নোংরা অবস্থায় রয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের মধ্যে যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার কথা বলেছিলেন। তারই জবাবে, ৬ তারিখ তিনি ক্লাস নিতে আসলে ওই উপদ্রব সৃষ্টি করেছিল কয়েকজন ছাত্র। 

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গোটা সময়টায় শিক্ষক প্রকাশ বগার কিন্তু, একবারের জন্যও উত্তেজিত হননি। বারবারই শান্তভাবে, ডাস্টবিনটি সরিয়ে তিনি পড়ানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এমনকী, ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে, তিনি এই বিষয়ে কোথাও অভিযোগও জানাননি। নিজের মতো পড়িয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পরে, ছাত্রদের তোলা ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ঘটনার কথা জানাজানি হয়ে যায়। এরপরই স্থানীয়রা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রবল সমালোচনা হয় ওই শিক্ষার্থীদের। কঠোর শাস্তির দাবি জানায় জনতা। পুলিশে অভিযোগ করা থেকে ওই ছাত্রদের স্কুল থেকে বহিষ্কারের দাবিও ওঠে। প্রকাশ বগার কিন্তু, কিছুই করতে দেননি। 

তিনি জানিয়ছেন, পরের বছরই তিনি অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু,  ছাত্ররা তরুণ, তাদের সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পড়ে রয়েছে। এই বয়সে অনেকেই ভুল করে ফেলে। প্রকাশ বলেছেন, তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার বা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের কোনও প্রয়োজন নেই। এই শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে ভালো কিছু করবে বলে তিনি আশাবাদী। তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা চলবে না। তিনি ওই শিক্ষার্থীদের ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য জনগণের কাছেও আহ্বান জানিয়েছেন। 

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরে, স্থানীয় বিধায়ক মাদল বিরূপাক্ষপ্পা, পাবলিক ইনস্ট্রাকশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জি আর থিপ্পেস্বামী ওই স্কুলে গিয়েছিলেন। সেখানকার শিক্ষক ও ছাত্র - উভয় তরফের সঙ্গেই তাঁরা কথা বলেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের দিয়ে তাঁরা লিখিয়ে নিয়েছেন, যে, তারা ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ আর করবে না। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিএলও-দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
বন্দে মাতরম সম্পাদনা কি দেশভাগের কারণ? অমিত শাহের মন্তব্যে তোলপাড়