আসামের বন্যা পরিস্থিতি গত দুদিন ধরে বদলায়নি, বর্ষার দ্বিতীয় স্পেলের বন্যায় প্রায় ১ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আসামের বন্যা পরিস্থিতি গত দুদিন ধরে বদলায়নি, বর্ষার দ্বিতীয় স্পেলের বন্যায় প্রায় ১ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার জল ইতিমধ্যেই কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট যা তার এক শিংওয়ালা গন্ডারের জন্য বিখ্যাত। আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ASDMA) রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ যে আপডেট প্রকাশ করেছে সেই অনুযায়ী আজ অবধি, ১৩টি জেলার ৩৭১টি গ্রামে মোট ৯৮,৮৪০ জন এখনও বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭।
দিখৌ ও ব্রহ্মপুত্র নদী বর্তমানে আসামের বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দিখৌ শিবসাগরে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, আর ব্রহ্মপুত্র ধুবরি, তেজপুর ও নেমাতিঘাটে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে কেএনপির বনাঞ্চলের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।
একজন কর্মকর্তার মতে, বন্যার কারণে জনপ্রিয় পর্যটক পকেট কেএনপি-র আগোরাতলি বনাঞ্চলের ৯০ শতাংশই তলিয়ে গেছে। এই প্রসঙ্গে একজন বন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের আটষট্টিটি বন শিবির গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি KNP-তে প্রবেশ করেছে এবং পার্কের বেশিরভাগ বন শিবির জলের তলায় চলে গেছে। খোরা রেঞ্জে, অন্তত ১৫টি বন শিবির প্লাবিত হয়েছে। বাগোরি রেঞ্জে, নয়টি শিবির এবং বুরাফারে ছয়টি বন শিবির ডুবে গেছে। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণীর হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আজ দুটি হগ ডিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
আসামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শনিবার থেকে কাজিরাঙ্গায় জলস্তর বেড়েছে। আগোরাতলীর মতো রেঞ্জে, জিপ টহল আর সম্ভবপর ছিল না। পরিস্থিতি এখনও সঙ্কটজনক নয় তবে আমরা বন্যপ্রাণীর সুরক্ষার উপর গভীর নজর রাখা দরকার বলে প্রশাসন জানাচ্ছে।