শুক্রবার সন্যায় কেরলে কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে গিয়ে দু’টুকরো হয়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের আইএক্স ১৩৪৪ বিমানটি ৷ খাদে পড়ে দু'টুকরো হয়ে যায় বামিনটি। এদিন পরিস্থিতি দেখতে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। সেখানেই কিনি নিহতদের পরিবারপিছু ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া কথা ঘোষণা করেন। এছাড়া, গুরুতর জখমদের মাথাপিছু ২ লাখ ও যাঁদের চোট সামান্য সেই সব যাত্রীপিছু ৫০ হাজার করে ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ও মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও এদিন কোঝিকোড়ে আসেন। প্রথমেই বিমান দুর্ঘনায় জখম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। কেন্দ্রের পথে হেঁটে কেরল সরকারও বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন জানান, এই দুর্ঘটনায় সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত ২ পাইলট সহ ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কোঝিকোড়ের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ১৪৯ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ৪টি শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। মৃতদের মধ্যে একজনের শরীরের করোনা সংক্রমণ মেলায় বাকি যাত্রীদের সকলের কোভিড ১৯ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার। এদিকে শনিবারই দুর্ঘটনায় চোট পাওয়া ২৩ ডনকে হাসপাতালে থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।
কেরালা বিমান বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। নানান বিষয়ে তদন্তে অনুসন্ধান হবে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ। শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে কোঝিকোড়ের দুর্ঘনাগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। এয়ার ইন্ডিয়া ও বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কীভাবে দুর্ঘনা ঘটল এয়ার পোর্ট অথরিটি তাঁকে তা জানিয়েছেন বলে ট্যুইটে লিখেছেন মন্ত্রী। এদিকে শনিবার বিপর্যস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়েছে। বিমানটি কেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তা এই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য যাচাই করে বলা সম্ভব হবে। এদিকে কোঝিকোড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পড়লেও বন্দে ভারত মিশনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই আশ্বস্ত করেছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরবহন মন্ত্রক।