যোনি, পায়ু বা মূত্রনালী দিয়ে পুরুষাঙ্গের অনুপ্রবেশ না ঘটালেও তাকে ধর্ষণ হতে পারে, রায় দিল কেরল হাইকোর্ট। ঠিক কী বলল আদালত?
যোনি, পায়ু বা মূত্রনালী দিয়ে পুরুষাঙ্গের অনুপ্রবেশ না ঘটালেও ধর্ষণ হতে পারে। বৃহস্পতিবার, এক পকসো মামলার শুনানির সময় এক দারুণ গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল কেরল হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে নির্য়াতিতার শরীরের হেরফের ঘটিয়ে যদি কোনও ছিদ্রের মতো জায়গা তৈরি করে সেখানেও পুরুষাঙ্গের অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়, তাকেও ধর্ষণ হিসাবেই ধরা হবে।
ঘটনাটা কী ঘটেছিল? আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি এক কিশোরীর দুই পা পরস্পরের সঙ্গে চেপে ধরে, তার উরুর মধ্যে তার গোপনাঙ্গ প্রবেশ করিয়েছিলেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির পর, এদিন আদালত রায় ঘোষণার সময় জানিয়েছে আইনের বিধানে ধর্ষণের মধ্যে যোনি, পায়ু এবং মূত্রনালী ছাড়াও মহিলাদের শরীরের অন্যান্য অংশেও অনুপ্রবেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ফৌজদারি আইন সংশোধনের পর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অধীনে, ধর্ষণের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যোনি, মূত্রনালী, মলদ্বার বা শরীরের অন্য কোন অংশে যা ছিদ্রের অনুভূতি দেয়, সেই সমস্ত ধরণের অনুপ্রবেশমূলক যৌন নিপীড়নকে ধর্ষণ বলে গ্রহণ করতে হবে। নির্দিষ্ট মামলাটির ক্ষেত্রে, নির্যাতিতার দুই পা একসঙ্গে চেপে ধরা হয়েছিল, যাতে একটি ছিদ্রের অনুপ্রবেশের অনুরূপ অনুভূতি পাওয়া যায়। ৩৭৫ ধারার অধীনে এটিকে অবশ্যই 'ধর্ষণ' হিসাবে গণ্য করা হবে।
তবে, সরকারি আইনজীবী নির্যাতিতার বয়স আদালতে প্রমাণ করতে পারেনি। সে নাবালিকা কিনা, তা আদালতে প্রমাণ হয়নি। সেই কারণে আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পকসো ধারার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। তবে আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা সহ বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। দায়রা আদালত এর আগে তাকে ভিন্ন ধারায় অপরাধী সাব্যস্ত করেছিল। তাকে বাকি জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধেই উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিল অভিযুক্ত। হাইকোর্ট তা পরিবর্তন করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল।