উদ্ধার বিমানের ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, ভেঙে পড়ার আগে বারবার আকাশে চক্কর

  • দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার
  • এর ফলে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধন্দ কিছুটা দূর হবে
  •  ভেঙে পড়ার আগে  দু-বার এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার চেষ্টা
  • শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন পাইলট

Asianet News Bangla | Published : Aug 8, 2020 6:49 AM IST / Updated: Aug 08 2020, 12:27 PM IST


শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে কেরলের কোঝিকোড়ে। মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধন্দ কিছুটা দূর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

 

শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে যে বিমানটি থেকে উদ্ধারডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (ডিএফডিআর) এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করেছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো। সেগুলিকে তদন্তের জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। 

 

 

এদিকে কোঝিকোড় বিমানবন্দরে যাঁরা উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন, তাঁদের সবাইকে কোয়ারান্টাইনে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা। ওই বিমানের অনেক যাত্রীই কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন, তাই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে এমন নির্দেশ শৈলজা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর আশ্বাস, উদ্ধারকাজে যোগ দেওয়া সবারই কোভিড পরীক্ষা করাবে সরকার।

 

কোড়িকড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যাত্রীদের সাহায্যের জন্য তিনটে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। একটি বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে সংস্থার চেয়ারম্যান রাজীব বনসল এবং সিইও কে শ্যাম সুন্দর। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮। শনিবার সকালে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। কোঝিকোড়েরই  বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ১২৭ জনের।

আরও পড়ুন: কোঝিকোড়ে শেষ হল উদ্ধার কাজ, দুর্ঘটনাস্থলে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল, সমবেদনা জানাল আমেরিকাও

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার ভয়াবহতার প্রমাণ দিচ্ছে দু’টুকরো হওয়া বিমানের ছবি, জোড়া তদন্ত কমিটি গঠন করল কেন্দ্র

বিমান দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পুরী বলেন, “প্রবল বৃষ্টির কারণে রানওয়ে স্লিপারি ছিল। বিমানবন্দরটি টেবিল টপ হওয়ার কারণে রানওয়ে স্কিড করে বাইরে গিয়ে পড়ে সেটি।” তবে বিমানে আগুন লাগেনি বলেই প্রচুর প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গিয়েছে সে কথা জানিয়েছেন পুরী।

 

উদ্ধারকাজ যে সম্পন্ন হয়েছে, সে কথা ট্যুইট করে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন । তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে বলে মালাপ্পুরমের কালেক্টর জানিয়েছেন। আরোহীদের সবাইকে মালাপ্পুরম ও কোড়িকোড়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার কোঝিকোড়ের বিমানবন্দরে পরিদর্শনে যান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও রাজ্যপাল। 

 

 

জানা যাচ্ছে ভেঙে পড়ার আগে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং ৭৩৭ এনজি দু-বার এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার চেষ্টা করেছিল। এই কথা জানিয়েছে ফ্লাইট রাডার২৪ নামে সুইডেনের একটি ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট। এরা বাণিজ্যিক বিমান ট্র্যাকে রাখে। বিমানটি তার আগে বেশ কয়েকবার আকাশে চক্কর কাটে বলেও জানা গিয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন দীপক সাথে।
 

Share this article
click me!