খুন করেন স্বামী সহ পরিবারের ৬ সদস্যকে, এবার জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা সিরিয়াল কিলারের

  • ১৪ বছরে একের পর এক খুন 
  • প্রতিটি খুনই ছিল পরিকল্পনা মাফিক
  • ১৭ বছর ধরে অপরাধ লুকিয়ে ছিলেন
  • হাবভাবে ছিল না কোনও অস্বাভাবিকতা

Asianet News Bangla | Published : Feb 27, 2020 7:19 AM IST / Updated: Feb 27 2020, 12:55 PM IST

গতবছর কেরলের কোঝিকোডের বাসিন্দা জলি জোসেফ এসেছিলেন খবরের শিরোনামে। জলি জোসেফ ওরফে জলি থমাসের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। জলির স্বামী রয় থমাসের ঘুনের ঘটনায় ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশি জেরা. মহিলা স্বীকার করেন ২০০২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে পরিবারের আরও ৫জনকে তিনি খুন করেছেন। 

আপাত শান্ত চোখের আড়ালে ২০০২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরে একের পর এক খুন করে গিয়েছে জলি। কেরল পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাতে ধরা পড়ার পর প্রতিটি খুনের সুনিপুণ ভাবে ব্যাখ্যাও দেন তিনি। কেরলের কোঝিকোড়ের ওই গৃহবধূর ভিতরে যে এমন সিরিয়াল কিলার লুকিয়ে রয়েছে তা প্রথমে মানতেই পারেননি অনেকে। এহেন জলি এবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন।

আরও পড়ুন: লজ্জার শিরোপা ভারতের, বিশ্বের দূষিত শহরগুলির দুই-তৃতীয়াংশ রয়েছে এদেশে

কোঝিকো়ড় জেলা সংশোধনাগার সূত্রে জানা গেছে নিজের সেলের ভিতরেই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন জলি। নিজের হাতের শিরা কেটে ফেলেন তিনি। ভোরে সাড়ে চারটে নাগাদ জেলরক্ষিদের বিষয়টি সামনে আসতেই তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

৪৭ বছরের অভিযুক্ত জলির খুনের ঘটনার ইতিহাস শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। প্রথম শিকার শাশুড়ি আন্নামা টমাস। ৫৭ বছরের আন্নাম্মা আচমকাই মারা যান। গোটা ঘটনাটা এমন ভাবে জলি সাজিয়েছিল যে মনে হয় স্বাভাবিক মৃত্যু। তার ঠিক ৬ বছর পর ২০০৮ সালে আন্নাম্মার স্বামী টম মারা যান। বলা হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় টমের। তৃতীয় খুন ২০১১ সালে। ৪০ বছর বয়সে একই ভাবে মৃত্যু হয় জলির স্বামী রয় টমাসের। ময়নাতদন্তে বিষক্রিয়ার বিষয়টি উঠে আসে। ২০১৪ সালে খুন হন আন্মাম্মার ভাই ম্যাথু। এর ঠির ২ বছর পর ২০১৬ সালে টমাসের খুড়তুতো ভাই শাজুর স্ত্রী ও ২ বছরের মেয়ে অ্যালফনসার মৃত্যু হয়। পর পর মৃত্যুতে বিপর্যন্ত পরিবার এবার পুলিশের শরণাপন্ন হয়। ততদিনে অবশ্য শাজুর সঙ্গে বিয়ে করেছেন জলি। শ্বশুর রয় টমাসের উইল অনুযায়ী সমস্ত সম্পত্তির উপর নিজেক অধিকারও দাবি করেছেন। আপত্তি করেন জলির দেওর মোজো। রহস্যমৃত্যুর জট খুলতে কবর খুঁড়ে সবকটি দেহ ফরেনিস্ক পরীক্ষায় পাঠান হয়। তাতে প্রত্যেকের শরীরে সায়ানাইডের অস্তিত্ব মেনে। 

আরও পড়ুন: প্রতারণার অভিযোগ এবার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে, দায়ের হল মামলা

এই খুনের ঘটনায় জলি বর্তমান স্বামী শাজুকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সায়ানাইড পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে শ্রীঘরে যেতে হয় এমএস ম্যাথু ও প্রাজিকুমারকে। পুলিশের কাছে জলি জেরার মুখে জানায়, আরও ৩টি খুনের পরিকল্পনা ছিল তার। যার মধ্যে ছিল ২টি শিশুও। 

Share this article
click me!