সকলে বলে মায়ের কোল শিশুর জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থান। তবে রাতারাতি এই ধরণা বদলে দিয়েছিল তিরুবনন্তপুরমের ঘটে যাওয়া এই পৈষাচিক ঘটনা। যা জানলে গা শিউড়ে উঠবে আপনার।
কেরালার রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সকলের এক চিন্তা ভাবনা এক রাতে বদলে দিয়েছে। সকলে বলে মায়ের কোল শিশুর জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থান। তবে রাতারাতি এই ধরণা বদলে দিয়েছিল তিরুবনন্তপুরমের ঘটে যাওয়া এই পৈষাচিক ঘটনা। যা জানলে গা শিউড়ে উঠবে আপনার। অভিযুক্ত মহিলা তার সাত বছরের কন্যা সন্তান-কে তার প্রেমিকের দিয়ে ধর্ষণ করার জন্য প্ররোচিত করেছিল।
এই ঘটনার জেরে তিরুবনন্তপুরমের আদালত এই মহিলাকে তার সাত বছরের মেয়েকে ধর্ষণে প্ররোচিত করার জন্য ৪০ বছরের শশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেছে। সোমবার কেরালার রাজধানীর একটি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তার প্রেমিককে তার সাত বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করতে প্ররোচিত করার জন্য এই মহিলাকে ৪০ বছরের জেল এবং জরিমানা করেছে।
এই ভয়ঙ্কর অপরাধটি মার্চ ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে ঘটেছিল এবং মেয়েটির মা এই সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত ছিলেন। ছোট্ট মেয়েটি শুধু জানিয়েছে, 'মা আমাকে চুপ থাকতে বলতো।' মেয়েটি যখন তার মায়ের কাছে অভিযোগ করত যে তার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে, তখন মা তাকে চুপ থাকতে বলে এবং কাউকে কিছু না বলার কথাও বলেছে। মেয়েটির ১১ বছর বয়সী সৎ বোন বাড়িতে এলে সে তাকে জানায় যে তার সঙ্গেও একই অপরাধ ঘটেছে।
ঠাকুমা এফআইআর দায়ের করেন-
বারবার ধর্ষণের শিকার হয়ে উভয় মেয়েই ঠাকুমার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। নাতনিদের সঙ্গে কথায় কথায় ঠাকুমা যখন দুই বোনের এই দুর্দশার কথা জানতে পারেন, তখন তিনি তার বউমার প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ পকসো আইনে মামলা দায়ের করে। বিচার শুরু হলে অভিযুক্ত ধর্ষক আত্মহত্যা করেন, তাই আদালত এই দুই মেয়ের মাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। মেয়ে দুটিকে এখন রাজ্য সরকার পরিচালিত একটি শিশুসদনে রাখা হয়েছে।