সোনিয়া নারাং-এর মুখোমুখি অনুব্রত, জানুন এই লেডি IPS ঠিক কতটা শক্তিশালী
গরুপাচারকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের জেরার মুখোমুখি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে জেরার জন্য একটি দলই গঠন করেছে ইডি। সেই দলেরই নেতৃত্বে দুঁদে আইপিএস সোনিয়া নারাং। দিল্লির গুঞ্জন- তাঁকে দেখলে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়।
Web Desk - ANB | Published : Mar 10, 2023 6:57 AM IST / Updated: Mar 10 2023, 12:29 PM IST
সোনিয়া নারাং
২০০২ সালের আইপিএস সোনিয়া নারাং। তার আগে পড়াশুনা পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমাজবিদ্যায় স্বর্ণপদক নিয়ে স্নাতক। ২০০৬ সালে দেবাঙ্গির পুলিস সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিজেপি বিধায়ককে চড়
দেবাঙ্গির পুলিশ সুপার থাকাকালীন সোনিয়া নারাং বিজেপি বিধায়ক রেণুকাআচার্যকে চড় মেরেছিলেন। কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে তিনি গিয়েছিলেন দলবল নিয়ে। দুই পক্ষ থেকেই সরে যেতে বলেছিলেন। বিজেপি বিধায়ক রাজি না হওয়ায় গালে চড় কষিয়ে দিতে দেরী করেননি সোনিয়া নারাং।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব
কর্নাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কে সিদ্ধারামাইয়াকেও মুখের ওপর জবাব দিয়েছিলেন সোনিয়া। সেই সময় সিদ্ধারামাইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মাইনিং করার অভিযোগ তুলেছিলেন। একটি বিবৃতি জারি করে ঘটনার প্রতিবাদ করেন সনিয়া
সোনিয়ার প্রশ্নবান
আইপিএস মহলে কথিত রয়েছে জেরার ব্যাপারে বিশেষ পারদর্শী সোনিয়া নারাং। তিনি প্রশ্নবানে প্রতিপক্ষকে রীতিমত নাস্তানাবুদ করতে পারেন। তাঁর জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অনেক দাপুটে ব্যক্তিত্বও।
সোনিয়া নারাং-এর সামনে অনুব্রত
ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে শুরু করেছে। তবে এখনও সোনিয়ার মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা কেষ্ট হয়েছিলেন কিনা তা কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইডি প্রথম দিনের জেরায় রীতিমত সাবধানী ছিল বলেও সূত্রের খবর।
সোনিয়ার আরও কীর্তি
আইপিএস সোনিয়া নারায় ক্যারাটেতে ব্ল্যাকবেল্ট পেয়েছেন। তিনি এনআইএ-তেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেন। কর্নাটকের লোকাযুক্তের দূর্নীতি দমন শাখার দায়িত্বেও ছিলেন। বর্তমানে ইডিতে বদলি হয়েছেন তিনি।
গরু পাচার-কাণ্ডে আর্থিক লেনদেন
গরু পাচারকাণ্ডে আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। কোথা থেকে টাকা এসেছে আর টাকা কোথায় গেছে। ইডির অনুমান কোটি কোটি টাকা বেআইনিভাবে লেনদেন করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। যার কোনও উৎস সন্ধান দিতে পারেননি তৃণমূল নেতা।
দিল্লিতে অনুব্রত
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে মঙ্গলবারই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পর থেকেই জেরা শুরু হয়েছে। যদিও অনুব্রতও দাপুটে রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত এই রাজ্যে। তিনিও যে সহজে হাল ছাড়বেন তেমনটা নয়।
প্রথম জেরাতেই বিপাকে ইডি
অনুব্রত প্রথম দিনের জেরাই জানিয়ে দেন তিনি লিখতে পারেন না। যা রীতিমত সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল ইডিকে। কিছু নিয়মেরও বদল করেছিল ইডি।
অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা
অনুব্রত শারীরিক অবস্থাই কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে ইডিকে। কারণ জেরায় তৃণমূল নেতা যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের আদালতে তারও জবাবদেহী করতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে।