Pak Terrorist: পুঞ্চ এনকাউন্টারে নিহত পাক-জঙ্গি জিয়া মুস্তাফা, ২৪ কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার মাস্টারমাইন্ড

জিয়া মুস্তাফা ছিল লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য। পুঞ্চ জেলার মেনধারের পুলিশ কোটবালওয়াল জেল থেকে জিয়াকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে এসেছিল।

রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kahmir) পুঞ্চে জঙ্গি ও নিরপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াইয়ের (Poonch Encounter) সঙ্গে ধৃত পাক জঙ্গি (Pak Terrorist) জিয়া মুস্তাফা (Zia Mustafa) নিহত হয়। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় জঙ্গিদের ডেরার সন্ধান পেতেই লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সদস্য জিয়া মুস্তাফারে ভাটা জুরিয়ানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দীর্ঘি দিন ধরেই এই সন্ত্রাসবদী জেলে ছিল। তাকে রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু জঙ্গিরা সেই সময় পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই ঘটনায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছে। গুলি লেগেছিল জিয়ারও কিন্তু সেইসয়ম প্রচণ্ড আগুনের কারণে জিয়াকে আর জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। পরে এনকাউন্টার স্থান থেকেই তার দেহ উদ্ধার হয়। 

Latest Videos

প্রশ্ন হচ্ছে কে এই জিয়া মুস্তাফা?
জিয়া মুস্তাফা ছিল লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য। পুঞ্চ জেলার মেনধারের পুলিশ কোটবালওয়াল জেল থেকে জিয়াকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে এসেছিল। লস্কর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নাদিমার্গ গণহত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিল জিয়া। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। ২০০৩ সালের ১০ এপ্রিল সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জিয়া মুস্তাফাকে গ্রেফতারের কথা ঘোষণা করেছিল। মূলত লস্কর জঙ্গিদের সন্ধান পেতেই জিয়াকে রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিল জিয়া। দক্ষিণ কাশ্মীর হাতের তালুর মত চিন্ত সে। 

Mamata Banerjee: 'আগে আপনার রাজ্য দেখুন', শিলিগুড়ি থেকে ত্রিপুরা নিয়ে বিজেপিকে টার্গেট মমতার

Jammu Kashmir: পুঞ্চের জঙ্গলে এনকাউন্টার, পুলিশকে জঙ্গি ঘাঁটি চেনাতে গিয়ে নিহত পাক সন্ত্রাসবাদী

Pakistan: প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তুলনা, ইমরান খানকে নিয়ে অবাক করা দাবি পাক মন্ত্রীর

সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জিয়াকে প্যারেডও করিয়েছিল। পাশাপাশি জানিয়েছিল ২৪ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার দায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সেই সময় পুলিশ তার কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল। জিয়া ভিক্টরসহ বেশ কয়েকটি ছদ্মনাম ব্যবহার করত। পুলিশের দাবি ছিল মুস্তাফা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে নিয়েছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবার নেতারাই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। 

পুলিশ জানিয়েছে নাদিমার্গের অধিকাংশ কাশ্মীরি পণ্ডিত আগেই ভিটেমাটি ছেড়ে চলেগিয়েছিল। কিন্তু প্রায় ৫০টি পরিবার থেকে গিয়েছিল সব আঁকড়ে ধরে। কিন্তু ২৩ মার্চ ১৯৯০ সালে সেনার পোষাক পরা জঙ্গিরা বাড়ি থেকে বের করে এনে ১১ জন পুরুষ ১১ জন মহিলা আর দুটি শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছিল। জঙ্গিদের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বাকি পণ্ডিতরাও ঘর ছেড়ে চলে যান।

Share this article
click me!

Latest Videos

Bangladesh-এ হিন্দুনেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার, মুক্তির দাবিতে Md Yunus-কে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
Live | India vs Australia : পারথে সাড়ে তিন দিনে টেস্ট জয়, বিদেশের মাটিতে ভারতের সেরা সাফল্য?
ওয়াকফ বিলের (Waqf Bill) আঁচ বাংলার বিধানসভায়, দেখুন কী বললেন Suvendu Adhikari
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya