২৬ নভেম্বর দিনটি সকলের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০০৮ সালে পাকিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল মুম্বইয়ে।
লস্কর-এ-তৈবা -র ১০ সন্ত্রাসী মুম্বইয়ের তাল হোটেল এবং অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায় হামলা করেছিল। হামলায় ১৬৬ জন মারা যায়।
৯ সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। শুধু জীবিত ছিল একজন, আজমল আমির কাসভ। পরে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের ফারিদকোট জেলার দীপালপুরের বাসিন্দা আজমল আমির কাসভ। সে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল।
তার মা নূর ইলাহী এবং বাবা আমির। কাসভ ২০০০ সালে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পর শ্রমিকের কাজ করত।
আজমল আমির কাসভ সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ছিল। তখন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যার আলোচনা হচ্ছিল।
মনসেহরার বেতাল গ্রামে প্রায় ২৫ জন ছেলেকে সন্ত্রাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল আজমল আমির কাসভ।
৩ মাস পর এই অপারেশনের ইনচার্জ আবু ইসমাইলকে মুম্বই হামলার এক মাস আগে আজমল আমির কাসভের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
আজমল আমির কাসভ বলেছিল, তাঁকে বলা হয়েছিল সে যতক্ষণ বেঁচে থাকবে তাঁকে মানুষ মারতে হবে। মুম্বইয়ের নিরপরাধ মানুষকে হত্যার পর সে অনুতপ্ত ছিল।
জানা যায়, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার পর সে ১ ঘন্টা কেঁদেছিল। সে বলেছিল আমি অনেক ভুল করেছি। আল্লাহ আমাকে এই কাজের জন্য কখনও মাফ করবে না।
Sayanita Chakraborty