সহকর্মী কমরেডকে শেষ বিদায় জানাতে প্রয়াত কমরেড কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণানের শেষযাত্রায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ হাঁটলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বালাকৃষ্ণনের শেষকৃত্য হয় পায়াম্বলাম সমুদ্র সৈকতে। কান্নুরে সিপিএম পার্টির জেলা অফিস থেকে শুরু হয় শেষ যাত্রা
সহকর্মী কমরেডকে শেষ বিদায় জানাতে প্রয়াত কমরেড কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণানের শেষযাত্রায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ হাঁটলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বালাকৃষ্ণনের শেষকৃত্য হয় পায়াম্বলাম সমুদ্র সৈকতে। কান্নুরে সিপিএম পার্টির জেলা অফিস থেকে শুরু হয় শেষ যাত্রা। তার আগে দলের কার্যালয়ে প্রয়াত নেতাকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে শ্রদ্ধা জানান তাঁর অনুগামী আর সমর্থকরা। ১ অক্টোবর চেন্নাইয়ের অ্যাপলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, বালাকৃষ্ণের মৃত্যু দল আর রাজনীতির জন্যএকটি বিশাল ক্ষতি। রবিবারই পিনারাই বিজয়নের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল যেখানে, পিনারাই বিজয়ন বসেছিলেন বালাকৃষ্ণের মরদেহের পাশে।
বালাকৃষ্ণনের শেষযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন, প্রবীণ সিপিএম নেতা তথা পলিটব্যুরো সদস্য এমএ বেবি, রাজ্য সম্পাদক এমভি গোবিন্দন, জেলা সম্পাদক এমভি জয়রাজন ও পলিটব্যুরো সদস্য বিজয়রাঘবন। দলীয় কর্মীরা ও অনুগামীদের সংখ্যা ছিল অগণিত। হাজার হাজার সমর্থক প্রিয় নেতাদের বিদায় জানাতে সামিল হয়েছিল। পায়াম্বলাম সমুদ্র সৈতকেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইকে নায়নার ও কেরল রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক চাগায়ন গোবিন্দনের সমাধিও এখানেই রয়েছে।
গত ২৯ অগাস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদিন তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। বালাকৃষ্ণান সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে কেরলে দলের রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
২০১৫-২০২২ সাল পর্যন্ত বালাকৃষ্ণান কেরল সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভিএস অচূদাননন্দনের সময়ের স্বরাষ্ট্র দফতর ও পর্যটন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৮৭ সালে তিনি তেলিচেরি কেন্দ্র থেকে প্রথমবার কেরল বিধানসভায় পা রাখেন। তারপর ২০০১ - ২০০৬ ইউডিএফ সরকারের শাসনকালে কেরল বিধানসভার উপ বিরোধী নেতা ছিলেন। ২০১১ সালেও উপ বিরোধী দলনেতার পদে ছিলেন। তিনি পার্টির রাজ্য সম্পাদক হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্যই নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণে সেই পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়ান।
কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণানের জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৬ নভেম্বর। ওনিয়ান হাই স্কুলে পড়াশুনা শুরু করেন। পরবর্তীকালে মাহের মহাত্মা গান্ধী কলেজ ও ত্রিভান্দ্রামের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে পড়াশুনা করেন। মাহেতে পড়ার সময়ই তিনি সিপিএম-এর ছাত্র শাখা এসএফআই-এর সদস্যপদ গ্রহণ করেন। সেই সময় থেকেই তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। তিনি এসএফআই-এর কেরালা স্টেট কমিটির সেক্রেটারি এবং এর সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীকালে ডিওয়াইএফআই কান্নুর জেলা সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জরুরি অবস্থার সময় ১৬ মাস জেলে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী আরএস বিনোদিনী। দুই সন্তান বিনয় ও বিনেশকে রেখেই পরলোক গমন করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে কেরলে সিপিএম নেতা কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
৬ রাজ্যের ৭ আসনে বিধানসভা নির্বাচন ৩ নভেম্বর , ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের
শত্রুপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্ত্র লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার, জানুন LCH-র বিশেষত্ব
আজ বিকালে দক্ষিণবঙ্গের ৪ আর উত্তর বঙ্গের ৮ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, সঙ্গে অবশ্যই ছাতা রাখবেন