কাশ্মীরের উন্নয়নে বিশেষ নজরদারি দিচ্ছে কেন্দ্র।সীমান্ত সুরক্ষার এক বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনই বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন দ্বারা নির্মিত ৭৫ টি নবগঠিত প্রকল্প খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে কাশ্মীরে .
সন্ত্রাসবাদের ক্রমাগত উত্থানে কাশ্মীরে এতদিন স্থগিত ছিল উন্নয়ন। এবার সেই কাশ্মীরের উন্নয়নে বিশেষ নজরদারি দিচ্ছে কেন্দ্র। সম্প্রতি কাশ্মীরের সীমান্ত সুরক্ষার এক বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনই বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন যে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন দ্বারা নির্মিত ৭৫ টি নবগঠিত প্রকল্প খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে কাশ্মীরের উন্নয়নের স্বার্থে।এবং শুধু কাশ্মীরই নয় এই প্রকল্প উন্নয়ন আনবে কাশ্মীর সহ আরও অন্যান্য ৯ টি রাজ্যে। । এই ৭৫ টি প্রকল্পের মধ্যে থাকবে ৪৫ টি সেতু , ২৭ টি রাস্তা, ২ টি হেলিপ্যাড, ও একটি কার্বন নিরপেক্ষ বাসস্থান। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে ২০ টি প্রকল্প জম্মু কাশ্মীরে এবং ১৮ টি লাদাখে ও অরুণাচল প্রদেশে , ৫ টি উত্তরাখণ্ডে , ১৪ টি সিকিমে , হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের মতো অন্যান্য সীমান্তরাজ্যে বাস্তবায়িত হবে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী কয়েকদশক ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের যে অভাব দেখা দিয়েছিলো সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কোথাও সেই উন্নয়নকে আরও অবদমিত করেছে। অনেক বিশেষজ্ঞই আবার ইউটির সন্ত্রাসবাদের উত্থানকে এই উন্নয়নের পিছিয়ে পড়ার মূল কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে। এই অভ্যন্তরীণ ঝামেলার ফলে কাশ্মীরে পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই সন্ত্রাসবাদ কোথাও কাশ্মীরের পাশাপাশি লাদাখকের জনজীবনকেও ব্যাহত করেছে। এখন সরকারের প্রচেষ্টায় কি ফিরবে এই অঞ্চলের শান্তি ও অগ্রগতি ?
দেশের সমগ্র প্রত্যন্ত অঞ্চলকে কাশ্মীরের সঙ্গে জুড়ে কাশ্মীর জাতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওযার প্রচেষ্টায় বিআরও এর ভূমিকা অত্যন্ত গুটরুত্বপূর্ণ। এর সংযোজনে সিং আরও বলেন যে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকেরা " আমাদের কৌশলগত সম্পদ " . তাই তাদের ক্ষমতায়ন করতে বিআরও-র এই তৎপরতা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য।
এই প্রকল্পগুলি কৌশলগতভাবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং । আসুন জেনেনি এই প্রকল্পের বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য।
>মনে করা হচ্ছে যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পগুলি নির্মাণে মোট ২১৮০ কোটি টাকা ব্যয় হবে । উন্নত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে একবারেই টানা নির্মাণ করা হবে প্রকল্পগুলি।
> আবহাওয়া চ্যালেঞ্জিং হলেও প্রকল্প শুরু পর দৃঢ়তা ও সংকল্পের সঙ্গেই কাজ সম্পূর্ণ করবে বিআরও। এই প্রকল্প দেশের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার সাথে সাথে সীমান্ত এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
> প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায় ডিএস - ডিবিও রোডে ১২০ মিটার দীর্ঘ ৭০ স্যাক সেতুর অনসাইট উদ্বোধন হবে। এই সেতুটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সেতু দিয়েই যাবে সশস্ত্র বাহিনীর রসদ।
যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সৈনিকদের করুন হাল দেখে আবেগঘন হয়ে পড়লো নেটিজেনমহল
১০, ডাউনিং স্টিট ছেড়ে সপরিবারে ঋষি থাকবেন অন্যত্র, প্রধানমন্ত্রী হয়েও সরকারি বাসভবনে থাকতে নারাজ ঋষি