বরুণ গান্ধী একমাত্র বিজেপি নেতা যিনি, লাখিমপুর খেরির হিংসার বিরুদ্ধে গিয়ে কৃষকদের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বিজেপির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খেরির হিংসার (Lakhimput Kheri Violence) নিন্দা করার ফল হাতেনাতে পেলেন বিজেপি (BJP) নেতা তথা সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi)। ছেলের কৃতকর্মের ফল পেলেন মা-ও। সূত্রের খবর বরুণ গান্ধী ও তাঁর মা মানেকা গান্ধীর (Maneka Gandgi) নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী (National Executive Council) দল থেকে। সূত্রের খবর একাধিকবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বরুণ গান্ধী একমাত্র বিজেপি নেতা যিনি, লাখিমপুর খেরির হিংসার বিরুদ্ধে গিয়ে কৃষকদের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বিজেপির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার কথায় লাখিমপুর খেরির হিংসা বিজেপির কাছে একটি স্পর্শকারত বিষয়। হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রর। তবে এখনও পর্যন্ত আশিস মিশ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করা হয়নি। তাই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের মতে বিষয়টি নিয়ে এখনও মন্তব্য না করে আরও ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিল।
UP Violence: কৃষকদের পিষে মারার video viral, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সুর মিলিয়ে টুইট বিজেপি সাংসদের
উত্তর প্রদেশের এক প্রবীন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এটাই প্রথম নয়, আগে কৃষক আন্দোলনের সময়ও বরুণ গান্ধী কৃষকদের পক্ষেই সওয়াল করে বারবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। তাঁর মা মানেকা গান্ধীও কৃষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। সমস্ত দিক বিবেচনা করেই বরুণ ও মানেকা গান্ধীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কার্যনির্বাহী দল থেকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন্দ্র সিং একাধিকবার কৃষকদের পক্ষে কথা বলেছেন। তাই তাঁরও নাম কাটা পড়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর তিন জনকে জাতীয় কার্যনির্বাহী দল থেকে বাদ দেওয়ায় কাজ চালাতে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে কাউন্সিলে তাঁদের স্থানে বসানো হয়েছে। বিজেপি এক নেতা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন বরুণ গান্ধী প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্য খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপি-র একাংশ মনে করছে লাখিমপুর খেরি নিয়ে বরুণ গান্ধীর মন্তব্য বিজেপি ভালোভাবে নেয়নি। বরুণ গান্ধী লাখিমপুর খেরি কাণ্ডের একাধিক ভিডিও পোস্ট করেছেন। সরাসরি নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলেকে। লাখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনাকে হত্যা আখ্যা দিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে লিখে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। মৃত কৃষকদের পরিবারের জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারের থেকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ চেয়েছেন। পাশাপাশি টুইটারে লিখেছেন কৃষকদের এভাবে হত্যার ঘটনা তাঁর আত্মাকে নাড়া দিয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, শীর্ষ নেতৃত্ব বরুণের এই মন্তব্য মেনে নিতে পারেনি। তাই এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।