সুপ্রিম কোর্ট উত্তর প্রদেশ সরকারকে লাখিমপুর খেরিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনার পাশাপাশি কটি এফআইআর দায়ের হয়েছে, কজনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্তে কারা কারা রয়েছে- সমস্ত কিছু জানিয়ে বিস্তারিত স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবারের (Friday) মধ্যে উত্তর প্রদেশ (UP) সরকারকে লাখিমপুর খেরির হিংসার(Lakhimpur Kheri Violence) ঘটনার বিস্তারিক স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। রবিবার উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খেরি এলাকায় হিংসার চার কৃষকসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি হয়েছেপ্রধানবিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে । এই বেঞ্চের অপরদুই আইনজীবী হলেন বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলি।
সুপ্রিম কোর্ট উত্তর প্রদেশ সরকারকে লাখিমপুর খেরিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনার পাশাপাশি কটি এফআইআর দায়ের হয়েছে, কজনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্তে কারা কারা রয়েছে- সমস্ত কিছু জানিয়ে বিস্তারিত স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। শীর্ষ আদালত উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীকে তদন্তের পাশাপাশি গোটা ঘটনারও বিস্তারিত বিবরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। রবিবারের হিংসায় নিহত কৃষক লাভপ্রীত সিং-য়ের মায়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অন্যদিকে এদিন উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। রাজ্যে সেই বিষয় নিয়েও বিস্তারিত স্টেটাস রিপোর্ট দেবে।
Crime News: 'সাপের ছোবলে হত্যার ষড়যন্ত্র এখন নতুন ট্রেন্ড', কেন একথা বলল সুপ্রিম কোর্ট
উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তিকোনিয়া থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি এফআইআরও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
রবিবার কৃষকরা কেন্দ্রের তিনটি আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে মহারাজা অগ্রসেন ইন্টার কলেজের মাঠে জমায়েত করেছিল। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে কালো পতাকা দেখানোর তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। সেই সময়ই বিজেপে নেতা কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রর গাড়ি কৃষকদের পিষে হত্যা করে বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই চার কৃষকের মৃত্যু হয়। পরে আরও চার জনের মৃত্যু হয়।