সংক্ষিপ্ত
বুধবার শীর্ষ আদালতে সাপে কাটা একটি মামলার শুনানি হচ্ছিল। তখনই সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছিল। মামলার উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী এনভি রামানা আর বিচারপতি সূর্যকান্ত আর বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে।
সাপের ছোবলে (Snake Bite) মৃত্যুর একটি মামলায় বুধবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এক ভয়ঙ্কর পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ' একটি নতুন প্রবণতা তৈরি হয়েছে, যেখানে মানুষ সাপেদের চরে গিয়ে বিষাক্ত সাপ সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। তারপর সেটিকে একজনকে হত্যার জন্য ব্যবহার করে।' পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, এটি রাজস্থানের একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার শীর্ষ আদালতে সাপে কাটা একটি একটি মামলার শুনানি হচ্ছিল। তখনই সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছিল। মামলার উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী এনভি রামানা আর বিচারপতি সূর্যকান্ত আর বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে। একটি মহিলাকে সাপের ছোবলের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই মাময়ার মূল অভিযুক্তকে জামিন দিতেও অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও অভিযুক্ত কৃষ্ণ কুমারের আইনজীবি বলেছিলেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও প্রমাণ নেই।
অভিযোগ হল কৃষ্ণ কুমার, প্রধান অভিযুক্তের সঙ্গে সাপের চরে গিয়েছিল। সেখানে ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি সাপ কিনেছিল। আইনজীবী আরও জানিয়েছেন তাঁর মক্কেল জানত না যে তার বন্ধু সাপের বিষ কিনছে। যদিও তার মক্কেলকে বন্ধরা বলেছিল ওষুধের প্রয়োজনেও সাপ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আইনজীবি আরও জানিয়েছেন কৃষ্ণ কুমার সাপ নিয়ে মহিলার বাড়িতে যায়নি। কৃষ্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র । তাই তাকে জামিন দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালে। রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলার একটি গ্রামে সাপের ছোবলে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনার জন্য মূল অভিযুক্ত হিসেবে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে মৃতার পুত্রবধূকে। জয়পুরের বাসিন্দা মণীষের সঙ্গে মৃতার পুত্রবধু আলপনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আলপনা তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন। সেনা বাহিনীতে কর্মরত তার স্বামী শচীন। পেশার কারণে দূরে দূরেই থাকতেন। শচীন আর আলপনার বিয়ে হয়েছিল ২০১৮ সালে। আলপনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা ছেলেকে জানিয়ে দেবেন বলে প্রায়ই হুমকি দিত শাশুড়ি। আলপনার প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাশুড়ি। তাই তাকে রাস্তা থেকে সরানোর জন্য প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে। ২০১৯ সালে ২ জুন আলপনা আর মণীষ বৃদ্ধাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ। কারণ সেই দিনই তারা ১২৪বার একে অপরকে ফোন করেছিল। যার মধ্যে ১৯টি ফোন কৃষ্ণ কুমারের ছিল।