শেষের দিকে যেসব দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেগুলি একটি সনাক্ত করা যায়নি। তাছাড়া ধসে চাপা পড়ে থাকা অবস্থায় যে দেহগুলি রয়েছে সেগুলিতে পচন লাগতে শুরু করেছে।
মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে দিন চারেক আগে ভয়ঙ্কর ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। টানা চার দিন ধরেই উদ্ধার কাজ চলছিল। অবশেষে রবিবার মহারাষ্ট্র প্রশাসন উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও প্রশাসন সূত্রের খবর এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৭৮ জন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেই রাজ্য সরকার ও উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য সরকার সূত্রের খবর শনিবার শেষ যে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল সেটি প্রায় পুরোপুরি পচে গিয়েছিল। তাই আর উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়।
জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে, শেষের দিকে যেসব দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেগুলি একটি সনাক্ত করা যায়নি। তাছাড়া ধসে চাপা পড়ে থাকা অবস্থায় যে দেহগুলি রয়েছে সেগুলিতে পচন লাগতে শুরু করেছে। এলাকার দুর্গন্ধ আর দূষণ ছড়াচ্ছে। তাই উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে সায় দিয়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষও।
বুধবার ভূমিধস নামে ইরশালওয়াদি গ্রামে। রায়গড় জেলার একটি দূর্গের কাছে অবস্থিত। গ্রামটি প্রত্যন্ত এলাকায়। তাই উদ্ধারকারী দল দ্রুত সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে সেখানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছায়। কিন্তু তারপরেও বাধসাধে আবহাওয়া। প্রবল বৃষ্টির কাজে বারবার ব্যবহত হয় উদ্ধারকাজ। রবিবার পর্যন্ত ধসের মধ্যে থেকে ২৭টি দেহ উদ্ধার করতে পেরেছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। কিন্তু এখনও ৭৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
বুধবার মহারাষ্ট্রে রায়গড়ে ধস নামে। সেই সময় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল এই রাজ্যে। এখনও মুম্বই সহ একাধিক এলাকায় বৃ়ষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শুধু মহারাষ্ট্র চলতি বছর বর্ষায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ড, হিমাটল সহ একাধিক রাজ্যে। বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবারই অমরনাথযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভূমিধস আর খারাপ আবহাওয়ার কারণে।