বদ্রীনাথের পথে ভয়ঙ্কর ভূমিধসে ব্যহত যান চলচল। হেলাং উপত্যকায় ভূমিধসের কারণে বন্ধ জাতীয় সড়ক।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত শিবতীর্থ কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ। শুক্রবার জোশীমঠের কাছে হেলাং এর একটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে যা বদ্রীনাথের দিকে যাওয়ার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কেদানাথের পথে ভৈরন হিমবাহের কাছে একটি তুষারধস হয়। মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিরবার কেদারনাথে যাওয়ার রাস্তায় তুষারধস এই নিয়ে মরশুমের দ্বিতীয়বার। আগের তুষারধসের ঘটনা ঘটেছিল বুধবার।
বদ্রীনাথের ধস
উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের কাছে একটি বিশাল ভূমিধসের ঘটনায় আবারও নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা। জোশীমঠের কাছে হেলাং উপত্যকায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এনটিপিসির টালেন তৈরি করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই এলাকায় মাটির নিচ দিকে একটি টানেল তৈরি করার জন্য বিষ্ফোরণ ঘটান হয়। এই ভয়ঙ্কর ভূমিঘসের পর বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে হেছে। মাঝ পথে আটকে পড়েছে প্রচুর মানুষ । স্থানীয় যাত্রীদের পশাপাশি তীর্থযাত্রীরাও রয়েছে। যাত্রীদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা নেই। রাস্তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আটকে পড়া যাত্রীদের রীতিমত অনিশ্চয়তার মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে।
জোশীমঠ থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে হেলাং উপত্যকা। এই ভূমিধসের কারণে বদ্রীনাথের সহযোগী রাস্তা জাতীয় সড়ক ৫৮ পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। হেলাং মারোয়ারি বাইপাস রোড তৈরি হচ্ছে। ভূমিধসের কারণে সেটিও বিপর্যস্ত। এই এলাকায় যানচলাচল পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে এই রাস্তার নির্মাণ কাজ।
কেদারনাথে তুষার ধস
বুধবার একটি হিমবাগের কিছু অংশ ভেঙে মন্দিরে যাওয়ার ট্র্যাক রুটের সামনে পড়েছিল। আর সেই কারণে বুধবার কেদারনাথ দর্শনে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। রুদ্রপ্রয়াগ জেলা দুর্যোহ ব্যবস্থাপনা আধিকারিক নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো ২৫ মিনিটে এডিআরএফ ও এনডিআরএফ, স্থানীয় পুলিশকর্মীরা কেদারের পথে জমে থাকা বরফ সরিয়ে ফেলে। সেই সময়ই আরও একটি তুষারধস হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেস ময়ূর দীক্ষিত তীর্থযাত্রীদের কেদারনাথে যাওয়ার রাস্তায় কয়েক দিনের জন্য না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন এজাতীয় তুষারধস মাঝে মাঝেই হতে পারে। তবে যারা হেলিকপ্টারে করে মন্দির দর্শন করতে চান তাদের আপাতত কোনও সমস্যা নেই বলেও জানিয়েেন তিনি।
কেদার ও বদ্রী এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চারধাম যাত্রা রীতিমত বিপর্যস্ত। একাধিক জায়গায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তীর্থযাত্রীদের। জোশীমঠ থেকেও যাত্রীদের নিচে নামিয়ে আনতে সমস্যা হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবারই রুদ্রপ্রয়াগে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছিল।