Kulgam Encounter - রাতভর লড়াইয়ে খতম লস্কর জঙ্গি, স্বাধীনতা দিবসের আগে বড় বিপর্যয় এড়ালো ভারত

বৃহস্পতিবারই বিএসএফ-এর কনভয়কে হয়েছিল হামলা। রাতভর গুলির লড়াইয়ে জম্মু  ও কাশ্মীরের কুলগামে নিহত হল েক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি।

Asianet News Bangla | Published : Aug 13, 2021 8:51 AM IST / Updated: Aug 13 2021, 02:35 PM IST

শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) -র একজন সন্ত্রাসীবাদীকে গুলি করে খতম করল নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ওই জঙ্গির গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল। লস্কর জঙ্গির গুলিতে দুই সেনা সদস্য এবং দুইজন অসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। কাশ্মীরের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার বলেছেন, এদিনের এনকাউন্টারের ফলে ১৫ অগাস্ট ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক দিন আগে একটা বড় সড় 'বিপর্যয়'  এড়ানো গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে, অনেকটা পুলওয়ামা হামলার ধাঁচে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ-এর একটি কনভয়কে লক্ষ্য করে আচমকাই গুলি ছুঁড়তে শুরু করেছিল জঙ্গিরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে নাগাদ কুলগামের মালপোরা মীর বাজার এলাকার কাছে, শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল বিএসএফের কনভয়টি। বিএসএফ জওয়ানরা পাল্টা জবাব দিতে শুরু করলে শুরু হয়েছিল দুইপক্ষের গুলির লড়াই। দ্রুত জম্মু এবং কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী বেশ কয়েকটি দল ব্যাকআপের জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন। যৌথ বাহিনীর সহায়তা পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছিল। পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদীরা যাতে পালানোর কোনও সুযোগ না পায়, তা নিশ্চিত করেছিল যৌথ বাহিনী। 

"

জানা গিয়েছে, এরপর ওই সন্ত্রাসবাদীরা কাছের একটা বড় বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে লুকিয়ে থেকে, আড়াল থেকে তারা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দলের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। যৌথ বাহিনীও অবশ্য জবাব দিতে ছাড়েনি। রাতভর চলে গুলির লড়াই। ভোরের দিকে জঙ্গিদের পক্ষ থেকে গুলি ছোড়া বন্ধ হয়ে গেলেও, অন্ধকারে তল্লাশি অভিযান কঠিন হবে বলে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। এদিন সকালে ওই এলাকা থেকে উসমান বাহি নামে একজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও একটি একে৪৭ রাইফেল, একটি গ্রেনেড এবং একটি রকেট লঞ্চার পাওয়া গিয়েছে। আইজিপি জেনারেল বিজয় কুমারের মতে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা অপরাধমূলক সামগ্রীই বলে দিচ্ছে, একটি বড়সড় হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল জঙ্গিরা।

আরও পড়ুন - 'তারা ছুঁতে চেয়েছিলাম' - অনুপ্রেরণার আরেক নাম ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়াল, গড়লেন আরও এক নজির

আরও পড়ুন - Kashmir - কতজন হিন্দু পণ্ডিত ফিরে পেয়েছেন পৈত্রিক ঘরবাড়ি, কী জানালো মোদী সরকার

আরও পড়ুন - Viral Video - পুলিশের সামনেই মুসলিম ব্যক্তিকে প্রহার, মেয়ের কান্নাতেও মন গলল না বজরং দলের

আহতদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।


 

Share this article
click me!