প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আরেকটি মহা ষড়যন্ত্রের মঞ্চ তৈরি হয়েছে। ১৫ মার্চ, মোদি প্রশাসনের দমন নীতি এবং কাশ্মীরে কারাবন্দী নেতার মুক্তি সহ অনেক বিষয়ে আন্দোলন শুরু হতে চলেছে।
সমস্ত কাশ্মীরি রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি সহ বিভিন্ন দাবিতে জোর দিতে বুধবার অর্থাৎ ১৫ই মার্চ দিল্লিতে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এদিন দিল্লিতে সমস্ত কাশ্মীরি রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং ভারতের অবৈধভাবে দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরে মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা ও দমন-পীড়ন অপসারণের দাবিতে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশটি থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত কাশ্মীরি রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা এবং মিডিয়ার নিপীড়নের অবসানের জন্য প্রচার চালানো হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে মোদী সরকারের নিপীড়নমূলক নীতির বিরুদ্ধে চলমান প্রচারের অংশ হিসেবে লেট কাশ্মীর স্পিক শিরোনামের অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানা গেছে।
এই সমাবেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হাসনাইন মাসুদি, অধ্যাপক নন্দিতা নারিন, মুহাম্মদ ইউসুফ তারিকামি, মীর শাহিদ সেলিম, সঞ্জয় খাক এবং অনিল সামদিয়া অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে একাংশের মতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আরেকটি মহা ষড়যন্ত্রের মঞ্চ তৈরি হয়েছে। ১৫ মার্চ, মোদি প্রশাসনের দমন নীতি এবং কাশ্মীরে কারাবন্দী নেতার মুক্তি সহ অনেক বিষয়ে আন্দোলন শুরু হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন খালিস্তান সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতারা। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের K2 এই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে।
লেট কাশ্মীর স্পিক নামে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশাসনের অধীনে কাশ্মীরে আরোপিত দমনমূলক নীতির বিরুদ্ধে একটি সেমিনার ও আলোচনা দলের আয়োজন করা হয়েছে। বিচার বিভাগ, মিডিয়া, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সহ অনেক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানের বিরুদ্ধে কথা বলবেন অনেক আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তি। একই সঙ্গে পৃথক কাশ্মীরের নামে জঙ্গি কর্মকাণ্ড ও হামলা চালানো হুরিয়ত নেতাদের পক্ষেও আওয়াজ তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, K2 সোশ্যাল মিডিয়ায় লেট কাশ্মীর স্পিক-এর ব্যাপক আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। এই K2 অপারেশন কাশ্মীর ও খালিস্তানকে সমর্থনকারী একটি পাকিস্তানি সংগঠন। খালিস্তানের কিছু সমর্থক এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন এই একই সংগঠন দিল্লিতে মোদির বিরুদ্ধে কর্মসূচিতেও সমর্থন দিয়েছে। ১৫ই মার্চ দুপুর ২টায় দিল্লির গান্ধী পিস ফাউন্ডেশনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। পাকিস্তানের অনেক মিডিয়া এই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে।