পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরার চারসু এলাকায় এক লস্কর জঙ্গিকে খতম করা হয়। এটি ছিল বছরের ২২তম এনকাউন্টার। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী ৩৯ জন জঙ্গিকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে।
গত বেশ কয়েকদিনে কাশ্মীরে চারটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে দুজন সরপঞ্চকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, একজনকে শ্রীনগরে এবং অন্যটি কুলগামে ঘটেছে। শনিবার বিকেলে শোপিয়ান জেলায় অন্য একজন সরপঞ্চের উপর গুলি চালানো হয়েছিল কিন্তু তিনি অক্ষত অবস্থায় পালাতে সক্ষম হন। সাধারণ মানুষকে নিশানা করে হামলা চালানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সরপঞ্চকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় (Khanmoh Sarpanch killing) এবার বদলা নিল ভারতীয় সেনা (Indian Army) ও পুলিশের (Jammu Kashmir police) যৌথবাহিনী। জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগরের বুকে তিন জঙ্গিকে (LeT terrorists) গুলিতে ঝাঁঝরা করল সেনা (Srinagar encounter)। কানমোহের সরপঞ্চকে খুন করেছিল এই জঙ্গিরা বলে জানিয়েছে সেনা। এনকাউন্টারের আরও বিশদ বিবরণ শেয়ার করে আইজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার বলেছেন, "জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর যে শ্রীনগর জেলার উপকণ্ঠে নওগাম এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে নওগাম এনকাউন্টারে লস্কর ই তইবা ও টিআরএফ-এর তিন জঙ্গি খতম হয়েছে।" এরা যে সরপঞ্চ খুনের সঙ্গে জড়িত সেই তথ্যও শেয়ার করেছেন আইজিপি কাশ্মীর।
বিজয় কুমার জানান, শ্রীনগর লাগোয়া নওগাম এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। কর্ডন করে চলে অভিযান। তবে আচমকাই জঙ্গি ঘাঁটি থেকে উড়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। পালটা জবাব দিতে দেরি করেনি ভারতীয় সেনা ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। শুরু হয় তুমুল এনকাউন্টার। পরে ভারতীয় সেনার গুলিতে খতম হয় তিন জঙ্গি।
শুক্রবার রাতেই জঙ্গিদের হাতে খুন হন বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধান (Sarpanch)। আর তারপরই বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপের কথা জানতে পেরে প্রায় ৪ থেকে ৫ জায়গায় যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী (Security Forces) ও পুলিশ (Kashmir Police)। আর তার জেরে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) ও লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) চারজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়।
আরও পড়ুন- অসম-বাংলা সীমান্তে ট্রাক থেকে উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু, গ্রেফতার দুই পাচারকারী
আরও পড়ুন- বিএসএফ-র তৎপরতায় আটকাল পাচার, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত ধরেই বাংলাদেশে ফিরে গেল ২ যুবতী
মঙ্গলবার, পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরার চারসু এলাকায় এক লস্কর জঙ্গিকে খতম করা হয়। এটি ছিল বছরের ২২তম এনকাউন্টার। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী ৩৯ জন জঙ্গিকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে, শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় এক সিআরপিএফ জওয়ানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শোপিয়ানের বাসিন্দা মুখতার আহমেদ দোহিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। শনিবার সকালে গান্দেরবালে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে লস্কর-ই-তইবার এক জঙ্গি খতম হয় বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি পুলওয়ামার চেওয়াকলানে শুরু হয় গুলির লড়াই। সেই লড়াইয়ে জইশ-ই-মহম্মদের দুই জঙ্গি ও এক পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।