শুধু বিজেপি নয়, এনডিএ-র নেতা হিসেবেও মনোনীত হলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন এনডিএ ও বিজেপির নেতা হিসেবে লোকলভায় নরেন্দ্র মোদীর নাম প্রস্তাব করেন রাজনাথ সিং।
শুধু বিজেপি নয়, এনডিএ-র নেতা হিসেবেও মনোনীত হলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন এনডিএ ও বিজেপির নেতা হিসেবে লোকলভায় নরেন্দ্র মোদীর নাম প্রস্তাব করেন রাজনাথ সিং। সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেন অমিত শাহ ও নিতিন গডকরিরা। শুক্রবার সেন্ট্রাল হলে বৈঠকে বসেছিল এনডিএ-র নবনির্বাচিত সাংসদরা। সেখানেই সর্বসম্মতভাবে এনডিএ-র নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে নির্বাচিত করেন জোটের সাংসদরা। আগামী ৯ জুন রবিবার শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নেতা হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাষণ দেন। সেখানেই তিনি বলেন , নির্বাচনের ফলাফলের পর দুই দিন কিছু লোক এমন পরিবেশ তৈরি করে যে আমরা হেরে গেলাম। কিন্তু দেশবাসী জানে আমরা পরাজিত ছিলাম না, পরাজিতও নই। আমাদের সংস্কৃতি এমন যে জয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে না এবং আমরা পরাজয়কে উপহাস করি না। এদিন সংসদে মোদী মোদী স্লোগানও দেয় এনডিএ জোটের সাংসদরা। সভায় এনডিও জেটের প্রায় সকল সাংসদও উপস্থিত ছিলেন। আজই বিকেলে সরকার গঠনের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে যাবেন জোট শরিকরা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর শুক্রবার এনডিএ-এর বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। টিডিপি-র ১৬ জন সাংসদকেই উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে নীতিশ কুমারও দলের সব সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলেছেন। রবিবার সন্ধ্যাতেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। তার আগে প্রয়োজনীয় সরকারী কাজকর্ম সারতে চাইছে এনডিএ জোট। ইতিমধ্যেই আমন্ত্রিত দেশের তালিকা তৈরি করে আমন্ত্রণপত্রও পাঠান হয়েছে।
বিজেপি এবার সব জোট শরিক বিশেষ করে নীতিশ আর চন্দ্রবাবুর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতারাও দুই শরিক নেতাকে চোখে চোখে রাখছে। কারণ যে কোনও সময়ই তারা পাল্টি খেতে পারেন। দুই নেতাই নিজের আর রাজ্যের কথা বিবেচনা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হন না।