ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান। এই নির্বাচনে বিজেপি-র জয় চাইছে না পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ।
ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পাকিস্তানের সাংবাদিক মাজহার আব্বাসের ভিডিও। তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভারতে অনেকেই মনে করছেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র হার অত্যন্ত জরুরি। বিজেপি-র চেয়েও (নরেন্দ্র) মোদীর হার আরও বেশি করে চাইছেন তাঁরা। বিজেপি-তে তো অটল বিহারী বাজপেয়ীও ছিলেন। তিনি কংগ্রেসের অনেক নেতার চেয়েই ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি যুক্তিবাদী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি যখন লাহোরে এসেছিলেন, তখন আমি সেখানে ছিলাম। তিনি যখন বলেছিলেন, মহম্মদ আলি জিন্না মহান নেতা ছিলেন, তখন ভারতে তীব্র নিন্দার মুখে পড়েন। ভারতীয় সমাজ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যত দিন যাবে এটা বাড়তে থাকবে।’
মনমোহন সিংয়ের প্রশংসায় পাক সাংবাদিক
এই সাক্ষাৎকারে আব্বাস আরও বলেছেন, ‘মোদী জিতলে এটাই ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে শেষ নির্বাচন হবে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, অটল বিহারী বাজপেয়ীর পর মনমোহন সিং যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তিনিই ভারতের শেষ ধর্মনিরপেক্ষ নেতা ছিলেন। আমি ভারতে কোনওরকম বিদ্রোহ বা জনজাগরণ দেখতে পাচ্ছি না। অনেকেই আশা করছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ২০০৪ সালের ফলের পুনরাবৃত্তি হবে না। ২০০৪ সালে অনেকেই ভেবেছিলেন, বিজেপি জয় পাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হন এবং ১০ বছর এই পদে থাকেন।’
'হিন্দুরাষ্ট্র হয়ে উঠছে ভারত'
আব্বাসের দাবি, ‘ভারতীয় সমাজে এখন হিন্দুত্ব ও কট্টরপন্থা তৈরি হয়েছে। সংখ্যালঘুদের কোনও অধিকার নেই। সারা বিশ্বে পাকিস্তানকে নিয়ে যত আলোচনা হয়, ভারত নিয়ে সেরকম কথা হয় না। হয়তো আর্থিক স্বার্থই এর কারণ। ভারতে যেভাবে সংবাদমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, সেটা পাকিস্তানের চেয়েও বেশি। ভারতের বেশিরভাগ বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমই নিয়ন্ত্রণ করে বিজেপি। ভারতে শিল্পীদের মতোই মুসলিম সাংবাদিকদেরও অনেকরকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Deepfake: আসল-নকলের পার্থক্য বুঝতে সমস্যায় ভোটাররা, লোকসভা নির্বাচনের আবহে ডিপফেক নিয়ে উদ্বেগ