
আরও বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। এবার তাঁকে খালি করতে হতে পারে সাংসদ কোটায় পাওয়া দিল্লির বাংলো। তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরই এবার লোকসভা প্যানেল সাংসদদের হাউজিং কমিটি এবং আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখে মহুয়া মৈত্রকে তাঁর সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ দিতে বলেছ। যদিও মহুয়া মৈত্র গতকাল অর্থাৎ সোমবার তাঁর লোকসভা খারিজের বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। সেই কারণে লোকসভার এথিক্স কমিটি তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। আর শীতকালীন অধিবেশনেই মাত্র আধঘণ্টার আলোচনার পরই মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় গত শুক্রবার।
মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর অভিযোগ ছিল আদানি গ্রুপ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লক্ষ্য করার জন্য লোকসভায় দর্শন হিরনন্দানির দেওয়া প্রশ্ন গুলি করেছিলেন মহুয়া । প্রতিদানে তিনি পেয়েছিলেন প্রচুর অর্থ ও মূল্যবান উপহার। এথিক্স কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের আচরণ 'একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উপহার গ্রহণ ও তার স্বার্থকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য অবৈধ তৃপ্তি গ্রহণ করার জন্য সংসদ সদস্য হিসেবে আরও আশালীন বলে প্রমাণিত হয়েছে, যা একটি গুরুতর অপকর্ম ও অত্যন্ত শোচনীয় আচরণ।' তবে মহুয়া মৈত্র সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বলেছেন, তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বেআইনি।
বহিষ্কারের পর মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, তাঁর এখন বয়স ৪৯। আগামী ৩০ বছর ধরে তিনি লড়াই করবেন। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। মহুয়ার পাশে তাঁর দল থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ
Weather Update: উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়ছে, চলতি সপ্তাহেই শীতের আমেজ আরও বাড়ার পূর্বাভাস
পৌষমেলার অনুমতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের, সঙ্গে রয়েছে ১০টি শর্ত