বিলটির মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের এসটি ও এসসি-র তালিকা পরিবর্তন করা যাবে। ঝাড়খণ্ডের তফসিলি উপজাতি তালিকায় নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এসটি অর্ডারের সময়সূচিকে সংশোধন করে।
রাজ্যসভার পর এবার লোকসভাতেও পাশ হয়ে গেল সংবিধান (তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি) আদেশ সংশোধন বিল ২০২২। এই বিলটি একটি সংশোধনী বিল। এটি সংশোধন করে ১. সংবিধান (তফসিলি জাতি) আদেশ ২. সংবিধান (তফসিলি উপজাতি ) আদেশ ১৯৫০। এই বিলের মাধ্যমে তফসিলি জাতি বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সিডিউল কাস্ট হিসিবে বিবেচিত হয়। জাতি ও উপজাতিগুলিকে নির্দিষ্ট করে। অপরটির মাধ্যমে - বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে উপজাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করা যায়।
এবার এই বিলটির মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের এসটি ও এসসি-র তালিকা পরিবর্তন করা যাবে। ঝাড়খণ্ডের তফসিলি উপজাতি তালিকায় নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এসটি অর্ডারের সময়সূচিকে সংশোধন করে। এগুলি হল দেওয়ারি, গাঞ্জু, দৌতালবন্দি, পাটবন্দি, রাউত, মাঝিয়া, খয়েরি, তামারিয়া ও পুরাণ সম্প্রদায়। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের এসসি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে ভোগতা সম্প্রদায়কে। এদের এবার এসটি তালিকার স্থানান্তরিত করা যাবে।
বিল নিয়ে আলোচনার সময় কেরলের কংগ্রেস সাংসদ সুরেশ কোডিকুনিল এসসি ও এসটিদের প্রকৃত সমস্যাগুলি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদের নামের তালিকা পরিবর্তন বা সংশোধন করেলই হবে না। গোটা দেশে এই সম্প্রদায়ের মানুষরা যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হচ্ছে তার সমাধান করতে হবে। তিনি আরও বলেন তফসিলিদের অধীকার হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলির দ্রুত সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে তিনি বেশ কিছু এলাকার মানুষের সমস্যার কথাও তুলে ধরেন।
অন্যদিকে এদিন সংসদে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি- সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার দাবি উঠেছে। ইউক্রেন ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে সংসদ। সরকার ও বিরোধী দুই পক্ষই নিজেদের মতামত দেন। এদিন পরপর দুবার লোকসভার অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়ে। বাম কংগ্রেস ও তৃণমূলের সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা বলেন এই দুটি বিষয়ে আলোচনা জরুরি। অন্যদিকে সরকার পক্ষ ইউক্রেন থেকে ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার জন্য যে অপারেশন গঙ্গা চালু হয়েছে তার সাফল্য তুলে ধরেন।