উত্য়প্ত বিতর্কের মধ্যেই আনল'ফুল অ্যাক্টিভিটিজ (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট বা ইউএপিএ-এর সংশোধনী বিল পাস হয়ে গেল লোকসভায়। যার ফলে এখন থেকে এই আইন প্রয়োগ করে, শুধু সংগঠন নয় ব্যক্তি বিশেষকেই সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিত করা যাবে। কিন্তু এই সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা নিয়েই এদিন উত্তাল হল সংসদ ভবন।
কংগ্রেস-সহস একাদীক বিরোধী দল এদিন এই সংশোধনী বিলটি লোকসভার কোনও স্ট্যআন্ডিং কমিচটিতে পর্যালোচনার জন্য পাঠানোর দাবি জানায়। কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি প্রশ্ন করেছিলেন এমনিতেই ইউএপিএ আইন যথেষ্ট কড়া, আরও কঠোর আইনের কী প্রয়োজন?
এর জবাবে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, সন্ত্রাসবাদকে খতম করতেই কটোরতর আইনের প্রয়োজন। তিনি জানান, ১৯৬৭ সালে কংগ্রেস সরকারই এই আইন এনেছিল। তারপর ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারই এই আইনে প্রয়োজনীয় বদল এনেছিল। তা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল বলেই মেনে নেন অমিত। সেই সঙ্গে দাবি করেন, তাঁরা যে বদলটা আনছেন সেটিও সঠিক।
তিনি জানান, অনেকসময়ই কোনও সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিলে তার সদস্যরা নাম পাল্টে আরও একটি নতুন সংগঠনের আড়ালে নিজেদের কাজ কারবার চালিয়ে যায়। সেই আইন ফাঁকি দেওয়াকে রুখতেই এই বদল আনা হচ্ছে। তিনি জানান, বিজেপি সরকার কখনই এই আইনকে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির কাজে লাগাবে না।
তারপরেও অবশ্য কংগ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল কক্ষত্যাগ করেন। তার মধ্য়েই পাশ হয়ে যায় এই সংশোধনী।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এদিন অমিত শাহ-এর বক্তৃতার শেষ অংশটি। তিনি জানান, বিজেপি সরকার আর্বান মাওবাদ বা শহুরে নকশালদের বিরোদী। বলেন, ভারতে অনেকেই সম্মানের সঙ্গে সমাজ সেবার কাজ করছেন, পুলিশের তাদের আটক করার কোনও ইচ্ছেই নেই। কিন্তু আদর্শের দোহাই দিয়ে যাঁরা মাওবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাদের প্রতি বিজেপি সরকারের কোনও রকম সহানুভুতি নেই। অর্থাৎ বিজেপি এই সংশোধনীকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাবে না জানিয়েও, 'শহুরে মাওবাদি'দের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকি তিনি দিয়ে রাখলেন।