কতজন নার্গিস সুনীল দত্তকে বিয়ে করেছেন, আর কত সীতা হবে রুবিয়া - বিস্ফোরক বিজেপি নেতা

মধ্যপ্রদেশ সরকার লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন তৈরি করছে

মঙ্গলবারই এই বিষয়টি জানিয়েছিলেন সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এবার সরকারে এই পদক্ষেকে সমর্থন করলেন সেখানকার বিধানসভার স্পিকারও

লাভ জিহাদ নিয়ে বস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি

amartya lahiri | Published : Nov 18, 2020 11:57 AM IST / Updated: Nov 19 2020, 11:58 AM IST

'কতদিন আমরা সীতাকে রুবিয়া হতে দেব, আর কতদিন সীতাকে মরতে দেব? নার্গিস এবং সুনীল দত্তের মতো সত্যিকারের প্রেম আমাকে দেখান। বলুন কতজন নার্গিস সুনীল দত্তকে বিয়ে করেছিলেন?'

মঙ্গলবারই মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার  'লাভ জিহাদ'-এর ক্রমবর্ধমান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে 'ধর্ম স্বতন্ত্র বিল ২০২০' নামে একটি বিল আনয়নের পরিকল্পনা করেছে। বুধবার সরকারের এই পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার প্রো-টেম স্পিকার তথা বিজেপি নেতা রামেশ্বর শর্মা এই মন্তব্য করলেন।

তাঁর দাবি, পাকিস্তান এবং তাদের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্টরা হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। নার্গিস এবং সুনীল দত্তের মধ্যে সত্যিকারের প্রেম ছিল। কিন্তু নার্গিস-সুনীল দত্তের মতো প্রেমের ঘটনা একবারই ঘটেছে। কারণ মুসলিম মহিলাদের হিন্দু পুরুষদের বিবাহ করতে দেখা যায় না। কিন্তু, দেশের সীতাদের অর্থাৎ হিন্দু মহিলাদের রুবিয়া হয়ে য়াওয়ার ঘটনা, ঘটেই চলেছে। আর তা আটকাতেই 'ধর্ম স্বতন্ত্র বিল ২০২০' এর মতো বিল দরকার।

সুনীল দত্ত এবং নার্গিস

এর আগে রামমন্দির নির্মাণ শুরু হলেই করোনা মহামারি দূর হবে বলে মন্তব্য করেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। বলেছিলেন, লোকে শুধু সামাজিক দূরত্ব মানছে তাই নয়, মনে মনে ভগবানকেও ডাকছে।

আরও পড়ুন - লাদাখ মানচিত্র বিতর্ক, ভারতের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল টুইটার

আরও পড়ুন - বিহার সরকার পুরো মুসলিমবিহীন, নেই একজন বিধায়কও - স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম

আরও পড়ুন - জঙ্গি নিধনের নামে প্রমাণ লোপাট করল পাকিস্তান, আর কি ন্যায়বিচার পাবেন কুলভূষণ

মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, প্রতারণার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করে বা জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করতে বাধ্য করা হলে এই বিলে, দোষীর পাঁচ বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং এ জাতীয় অপরাধ অ-জামিনযোগ্য বলে গন্য হবে। এধরণের বিবাহকে বিবাহ বলে গন্য করা হবে না এবং বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। এ জাতীয় কাজে সহায়তাকারীদেরও দোষী সাব্যস্ত করা হবে। বিবাহের জন্য স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হলে এক মাস আগে থেকে তা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে হবে।

মধ্যপ্রদেশ ছাড়াও বিজেপি শাসিত হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকও 'লাভ জিহাদ' প্রতিরোধের জন্য ধর্মান্তরকরণকে আইনি কাঠামোর আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে।

 

Share this article
click me!