Cyclone Michaung: ১ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট, তেমনই সতর্কতা দিল আবহাওয়া দফতর

আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে একটি নিম্নচাপ। সেটি ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে।

এই নিম্নচাপ ডিসেম্বেরের প্রথম সপ্তাহেই ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। বুধবার ওড়িশা সরকারের কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। এই বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি করতে পারে।

কৃষকদের সতর্ক করার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। শুক্রবার সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

মৌসম ভবনের বার্তা হল- এটি পশ্চিম - উত্তর -পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ৩০ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এটি নিম্নচাপে ঘনীভূত হতে পারে। সেখানেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

হাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত নিম্নচাপের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৮ কিলোমিটার।

ইতিমধ্যেই বালাসোর, ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংপুর, পুরী, খুরদা এবং গঞ্জাম এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলা শাসকদের সতর্ক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে তারা যাতে সমুদ্রে যেতে না পারে তার জন্যই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আইএমডি আরও বলেছে, ১ ডিসেম্বর থেকে বঙ্গোপসাগরের উপরে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার হতে পারে। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া দিতে পারে। আইএমডি বলেছে সমুদ্রের অবস্থা খুব রুক্ষ হতে পারে।

নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। কিছুটা হলেও তাপমাত্রার পারদ উর্ধ্বগামী। দুই দিন আগেও শীতের আমেজ ছিল। কিন্তু এখন তা আর একদমই নেই।

ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে মৌসমভবনে তরফে তার নাম দেওয়া হবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এই নামটি মায়ানমারের দেওয়া। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল। সেটির নাম ছিল মেধিলি।

হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে,আগামী দুই থেকে তিন দিন তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও বাড়বে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। তাই ডিসেম্বরের আগে আর শীত পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।