Uttarkashi: উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজে নয়া মোড়, শাবল গাঁইতি দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু

২৫ টন ওজনের অগার মেশিনটি ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধাকারী দলগুলির একই সঙ্গে একই সঙ্গে একাধিক কৌশল অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এবার উদ্ধারকাজে ম্যানুয়াল ড্রিলিংএর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই ড্রিলিংএর মূল কাজই হল অগার মেশিনের শুরু করা কাজ সম্পন্ন করা। এই কাজের জন্য দিল্লি থেকে ১১ জনের একটি দল পাঠান হয়েছে।

দিল্লিতে থেকে পাঠান ১১ জনের বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছে ৬ জন বিশেষজ্ঞ। আরও পাঁচ রয়েছে রিজার্ভে। উদ্ধারকারী দল বলেছে যে তারা ৮০০ মিমি পাইপের ভিতরে গিয়ে ধ্বংসাবশেষ করেছে।

ম্যানুয়াল ড্রিলিং একটি ক্লান্তিকর কাজ। আর সেই কারণে খননকারীরা পালা করে খনন কাজ করবে। তবে এরা খননকাজে এতটাই দক্ষ যে এদের ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

এই পেশাদাররা ধাতব বাধাগুলি কাটাতেও দক্ষ। ম্যানুয়াল ড্রিলিং পদ্ধতি আজ কাজ শুরু করা হয়েছে।

উদ্ধারকারী দল বলেছে, ধ্বংসাবশেষ থেকে অগার ড্রিলের অংশগুলি থেকে সরাতে গ্যাস কাটার ব্যবহার করা হয়েছে। পাইপের ভিতরে তাপ দিয়ে কাজ করা হয়েছে। ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু করার আগে সেটি ঠান্ডা করার জন্য অপেক্ষা করা হয়।

উদ্ধারকাজে বারবার বাধার কারণে টানেলের মুখ থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি বিন্দু থেকে অনুভূমিকভাবে ড্রিলিং করা হবে। তারপর প্রায় ৮৬ নিচে একটি উলম্ব ড্রিল করা হবে। ইতিমধ্যে ৩১ মিটার খনন করা হয়েছে। শ্রমিকরা যাতে আহত না হয় তারজন্যই এই ড্রিল করা হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে ৩৭ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। বড় কোনও বিপদ এখনও পর্যন্ত হয়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই গোটা কাজ শেষ করা যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবারই থেকেই উদ্ধারকাজ ব্যাপকভাবে বাধা পেয়েছিল। আটকে গিয়েছিল অগারমেশিন। মেশিনটি ভেঙে চৌচির হয়ে যায়। তারপরই হাতে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে।

উত্তরকাশীর সিল্কিয়া টানেলে ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে ৪১ জন শ্রমিক। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য স্থিতিশীল রয়েছে। শরীর সুস্থ রয়েছে। পাইপ বসিয়ে খাবার, জল পোশাক ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।