উত্তরপ্রদেশের পর এবার মধ্যপ্রদেশেও অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সেলাই করল স্বামী। ভারতে সন্দেহবাতিক স্বামীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
সন্দেহ এমন এক ধরণের অনুভূতি যা মানুষকে অনেক অত্যদ্ভূত কাজ করতে বাধ্য করে। কখন যে সে সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে, তা খেয়ালও থাকে না। এমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের সিংরৌলি জেলায়। স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেবের কারণে, তিনি স্ত্রী-এর গোপনাঙ্গ সেলাই করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার, সিংরৌলি জেলার রাইলা গ্রামে।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বয়স ৫৫ বছর। সে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার। তার স্ত্রী, বয়সে তাঁর থেকে অনেকটাই ছোট। সম্প্রতি, রাইলা গ্রামেরই আরেক পুরুষের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করা শুরু করেছিল অভিযুক্ত স্বামী। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীতে প্রায়ই তর্ক-বিতর্ক চলত। এমনকী, অভিযুক্ত স্ত্রী-এর গায়ে হাত তুলত বলেও অভিযোগ। তবে এদিন অবস্থা চরমে ওঠে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনিল সোনকার জানিয়েছেন, এদিনও একই বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া শুরু হয়েছিল। অভিযুক্ত স্বামী প্রথমে স্ত্রীকে মারধর করে। পরে তাঁর গোপনাঙ্গ সেলাই করে দেন বলে অভিযোগ। মহিলা কোনওক্রমে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে, বন্ধুরা থানায় স্বামীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এসএসপি আরও জানিয়েছেন, মেডিকেল রিপোর্টে ওই মহিলার অভিযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, কিছু ধারালো ধাতব কাঁটা ব্যবহার করে ওই মহিলার গোপনাঙ্গ সেলাই করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত স্বামীকে অবশ্য ধরতে পরেনি পুলিশ। স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ জানাতে গিয়েছে শুনেই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, এই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। নির্যাতিতা মহিলাকে সিংরৌলি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহের বশে, স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সেলাই করে দেওয়ার ঘটনা ভারতে এই প্রথম ঘটল না। বস্তুত, চলতি বছরের মার্চ মাসেই উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায়, একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীর গোপনাঙ্গকে তামার তার দিয়ে সেলাই করার চেষ্টা করেছিল। সে ছিল পেশায় দিনমজুর। একইভাবে স্ত্রী-এর অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ ছিল তার। তারাও প্রায়ই তর্কাতর্কি করত। ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় সেই দিনমজুর তার স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে, মুখে কাপড় ঠুসে, তামার তার দিয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সেলাই করার চেষ্টা করেছিল। কয়েকটি সেলাই দেওয়ার পর রক্তাক্ত অবস্তায় পালিয়েছিল স্ত্রী। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল।