এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বাসিন্দারা। কারণ এক মহিলা তাঁর আট মাসের সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে দৃড় কণ্ঠে জানিয়েছেন তাঁর সন্তানের যাখানে থাকার কথা ছিল সে সেখানেই সে তাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর সন্তান মানুষ নয়, একটি ছাগল ছিল বলেও মন্তব্য করেছে সন্তান হন্তা মা।
স্থানীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তার মাকে রশ্মি লোধিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোপাল সংলগ্ন চুরারু গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে শনিবার বিকালে সে তার সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সন্তানের সঙ্গে বেশ দীর্ঘ সময় হাইওয়ের ধারে বসেছিল। তারপরই একটি কুড়ুল দিয়ে সে তার সন্তানকে আঘাত করতে থাকে। নিহত শিশুটির ঘাড় ও দেশের একাধিক জায়গায় কোপানোর দাগ রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। রশ্মির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে বেশ কয়েক ঘণ্টা পর সে তার সন্তানের রক্তাক্ত দেহ নিয়ে ফিরে আসে। আর রক্তে ভেজা শিশুটিকে ধরে সে বারবার বলতে থাকে তার সন্তান একটি একটি ছাগল ছিল। আর সন্তানের যেখানে থাকার কথা সেখানেই তাকে পাঠান হয়েছে।
সৎছেলের কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন মা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রাশিয়ান ব্লগারের প্রেম কাহিনি ...
লাদাখের এবার অরুণাচলে ড্রাগনদের নজর, তৈরি হয়েছে একটি আস্ত গ্রাম ...
স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে,প্রথম দিকে রশ্নির পরিবার অপরাধটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। নিহত শিশুটিকে কাপড়ে জড়িয়ে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। রবিবার গোটা বিষয়টি সামনে আসে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় রশ্মিকে। উদ্ধার করা হয়ে খুনের জন্য ব্যবহৃত কুড়ুলটি। শিশুটির দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের অনুমান রশ্নির মানসিক সমস্যা রয়েছে। আর সেই কারণেই নিজের সন্তানকে হত্যা করেছে। ইতিমধ্যে রশ্নিকে মানসিক হাসপাতালেও পাঠান হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই বিশ্বাস করছে শিশুকে বলি দেওয়া হয়েছে।