- Home
- World News
- International News
- সৎছেলের কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন মা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রাশিয়ান ব্লগারের প্রেম কাহিনি
সৎছেলের কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন মা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রাশিয়ান ব্লগারের প্রেম কাহিনি
- ৭ বছর বয়স থেকেই চিন্তেন স্বামীকে
- স্বামী ছিল তাঁর সৎছেলে
- তাঁদের কন্যার জন্মগ্রহণের আগেই বিয়ে করেন
- দীর্ঘ দিন ধরে একসঙ্গে থাকার পরই বিয়ের সিদ্ধান্ত
| Published : Jan 17 2021, 08:30 PM IST / Updated: Jan 17 2021, 08:36 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সন্তানের জন্মের আগেই নিজের সৎ ছেলেকে স্বামী হিসেব গ্রহণ করলেন জনপ্রিয় রাশিয়ান ব্লগার মেরিয়ানা বালমেশেভা। তাঁর বয়স ৩৫। আর তাঁর স্বামী ভ্লাদিমির শাভরিনের বয়স ২১। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে একথা জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন তাঁর ভ্লাদিমির একটি কন্যা সন্তানেরও জন্ম হয়েছে।
কয়েক মাস আগেই স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় মারিয়ানার। বিচ্ছেদের মূল কারণই হল ভ্লাদিমির ওরফে ভোভা। ভ্লাদিমির বাবা অ্যালেক্সিকে যখন মারিয়ানা বিয়ে করেন তখন ভ্লাদিমির বয়স ছিল মাত্র সাত। সে ছিল অ্যালেক্সির প্রথম পক্ষের সন্তান। তারপর মারিয়ানা ও অ্যালেক্সি ১০ বছর এক সঙ্গে থাকেন ও ৫ সন্তান দত্তক নেন।
আর সেই সময় থেকেই তিনি তাঁর আজকের স্বামীকে চিনতেন বলেও জানিয়েছেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর স্বামীর যখন ৭ বছর বয়স ছিল তখন থেকেই তিনি তাঁকে চিনতেন বলে জানিয়েছেন।
রাশিয়ার ক্রাসনোগদার হাসপাতালে মারিয়ানা ও ভ্লাদিমির একটি কন্যাসন্তান হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মারিয়ানা জানিয়েছেন স্বামীর নির্দেশেই তিনি তাঁদের কন্যা সন্তানের ছবি পুরোপুরি দিচ্ছেন না। বিশ্বের প্রথম সারির সংস্থা সংস্থা ডেইলি মেইল জানিয়েছে বিশ্ব তাঁদের সদ্যোজাতকে তিরোষ্কার করার আগেই তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। নবজাতক সুস্থ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া মারিয়ানা তাঁর গর্ভাস্ত অবস্থার বিষদগুলি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন তাঁকে কী কী ভাবে তাঁর প্রেমিক সাহায্য করেছিলেন। সেখানে অবশ্য মারিয়ানা ভ্লাদিমির নাম নেননি। তিনি লিখেছিলেন বিশ্বের নীল চোখের মনোমুগ্ধকর মানুষ।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর তরুণ স্বামীর কারণে অনেকেই তাঁকে মেকআপ ব্যবহার করতে বলেছিলেন। অনেকে প্ল্যাস্টিক সার্জারি করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিত্বেকেই গুরুত্ব দেন তাঁর প্রেমিক। মুখে দাগ অবস্থাতেই ভালোবেসেছিলেন তিনি। তাই কোনও পরিবর্তনের দরকার নেই।