সংক্ষিপ্ত
- অরুণাচল সীমান্তে গ্রাম তৈরি
- রয়েছে ১০১টি বাড়ি
- ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তে ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিরতে
- প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার ভিতরে
লাদাখের পাশাপাশি এবার চিন ড্রাগনদের নজর রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের দিকেও? সদ্যো প্রকাশিত উপগ্রহ চিন সেই জল্পনা আবারও উস্কে দিচ্ছে। কারণ সদ্যো পাওয়া উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে অরুণাচলের ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার ভিতরে চিন তৈরি করে ফেলেছে আস্ত একটি গ্রাম। আর সেই গ্রামে ইতিমধ্যেই ১০১টি বাড়িও তৈরি করেছে চিনারা। উপগ্রহ চিত্রে পাওয়া এই ছবি যথেষ্ট উদ্বেগের বলেও মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।
উপগ্রহ চিত্রে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সমর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন,উজান সুবানসিরি জেলায় অবস্থিত স্থানীয় তাসারি চু নামের স্থানীয় একটি নদীর উপকূলেই তৈরি হয়েছে গ্রামটি। এই এলাকা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। সশস্ত্র সংঘর্ষেই জড়িয়েছে দুই দেশ। উপগ্রহ চিত্রের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের অগাস্টে ওই এলাকায় কোনও বাড়ি ছিল ছিল না। ২০২০ সালে নভেম্বরে পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে একই এলাকায় তৈরি হয়েছে রীতিমত বাড়ি। তৈরি হয়েছে রাস্তাও। সব কিছু বিশ্লেষণ করে সমর বিশেষজ্ঞদের ধারণা ২০২০ সালেই তৈরি হয়েছিল গোটা একটা গ্রাম। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরেই চিন সামান্ত সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামো নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে। একাধিক বার নিষেধ করা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।
বিদেশ মন্ত্রক এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে সূত্রের খবর পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। সূত্রের খরব ভারত এখনও পর্যন্ত এজাতীয় কোনও পদক্ষেপ থেকে বিরত থেকেছে। সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তবে ওই গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ভারতের তৈরি কোনও রাস্তা বা পরিকাঠামোর তৈরি করেনি। ছবিতেও তেমন কিছু ধরা পড়েনি। তবে স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবি অনুযায়ী চিন একটি দুই লেনের রাস্তাও তৈরি তরেছে। আর সেটি সীমান্ত পেরিয়ে ৬০-৭০ কিলোমিটার ভিরতে ঢুকে পড়েছে।
পাকিস্তানের একটি মিছিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পোস্টার, দেখে নিন সেই ভিডিও ..
ঐতিহাসিকভাবে বিতর্কিত অঞ্চলে নতুন এই গ্রাম নির্মাণ ভারতের সঙ্গে চিনের বিবাদ আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ গ্রামটি ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক একাধিক চুক্তি লঙ্ঘন করবে বলেও মনে করা হচ্ছে। আর এই ছবি আরও একবার প্রমাণ করে যে চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিকাঠো নির্মাণ থেকে একদমই পিছু হাঁটতে চাইছে না। গত বছর থেকে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চিনা অগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ভারত। সীমান্ত রক্ষার জন্য শীতকালেও মোতায়েন রয়েছে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে। গ্যালওয়ানে সংঘর্ষের কারণে ২০ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের দিকেও কু-নজর দিতে শুরু করেছে চিনারা।