রাজ্যপালকে শক্তি দেখালো তিন দলের জোট, বিজেপি-অজিতের হাতে সময় আরও ২৪ ঘণ্টা

  • মহারাষ্ট্র-শুনানি আরও ২৪ ঘন্টা পিছল
  • এদিন এনসিপির সমর্থনপত্র পেশ হল আদালতে
  • পাল্টা ১৬২ বিধায়কের সমর্থনের চিঠি দেখাল তিন দলের জোট
  • এই অবস্থায় আস্থাভোটে যতটা সম্ভব দেরি করতে চাইছে বিজেপি-অজিত

 

amartya lahiri | Published : Nov 25, 2019 7:07 AM IST / Updated: Nov 25 2019, 01:58 PM IST

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন যত দ্রুততায় হয়েছিল ঠিক ততটাই বিলম্ব হচ্ছে আস্থা ভোটে। এদিন ফের ২৪ ঘন্টা জন্য মহারাষ্ট্রে বিজেপি-কে সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের আহ্বানের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে করা মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আস্থা ভোট আয়োজন নিয়ে নির্দেশও বুধবার সকালেই জানানো হবে।

এদিন কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষাড় মেহতা আদালতে এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কের সই করা সমর্থনপত্র আদাললতে পেশ করেন। তিনি জানান, এই সমর্থনপত্রে অজিত পওয়ার মহারাষ্ট্রের জনগণের স্বার্থে স্থিতিশীল সরকার গঠনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মোট ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন মনিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। বিজেপির ১০৫ বিধায়কের সঙ্গে সঙ্গে  এনসিপির ৫৪, ও নির্দল ও ছোটদলের ১১ জন বিধায়ক দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সমর্থন করেছেন। কাজেই এই ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সন্দেহ করার কোনও জায়গা ছিল না।

অন্যদিকে এদিন সকালে আদালতে শুনানি শুরু হওয়ার আগেই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির কাছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস তিন দলের পক্ষে একনাথ শিন্ডে, বালাসাহেব থোরাট, অশোক চভন, বিনায়ক রাউত জি, আজমি, কেসি পদবী প্রমুখ নয়া জোটের পক্ষে ১৬২ জন বিধায়কের সমর্থনপত্র জমা দেন। পরে আদালতে ওই সমর্থনপত্রের প্রতিলিপি দাখিল করতে চান এনসিপি-কংগ্রেসের হয়ে সওয়াল করা অভিষেক মনু সিংভি। কিন্তু আদালত সেই চিঠি গ্রহণ না করে জানায় মামলার পরিসর বাড়ানো যাবে না।

ফলে, শ্বাস নেওয়ার জন্য আরও ২৪ ঘন্টা সময় পেলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অজিত পওয়ার। এরমধ্যে কতজন বিধায়কের সমর্থন তাঁরা জোগার করতে পারেন, সেটাই দেখার। আস্থাভোট যতটা সম্ভব পিছিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা। বিজেপির আইনজীবী মুকুল রোহতাগি আদালতে দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আস্থাভোট আয়োজনের নির্দেশ দিতে পারে না। উপযুক্ত সময় হল ৭ দিন। কাজেই এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে যে শব্দটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে তা হল হর্স ট্রেডিং বা ঘোড়া কেনাবেচা।

 

Share this article
click me!