লোকসভা ভোটে মন-প্রাণ লাগিয়ে প্রচার করেছিলেন। তুলেছিলেন 'চৌকিদার চোর হ্য়ায়' স্লোগানও। কিন্তু সেইসব করে কোনও লাভ হয়নি। তারপর থেকে গটে গিয়েছে অনেক কিছুই। নির্হবাচনী ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে গিয়েছেন কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকেও। ৫ মাসের দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে রবিবার রাহুল গান্ধীকে ফের দেখা গেল প্রকাশ্য জনসভায়। আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তিনি প্রচার করলেন মুম্বইয়ের দুটি জনসভায়।
একি দিনে মহারাষ্ট্রে প্রচার করতে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। লোকসভার পর অনেক কংহগ্রেস নেতাই বলেছিলেন মোদীকে একতরপা আক্রমণ করার কৌশল ভুল। কিন্তু রাহুল ফের সেই মোদী অমিত শাহকেই নিশানা করলেন। তিনি এদিন অভিযোগ করেন, কৃষকদের সমস্যা বা বেকারত্বের মতো আসল সমস্য়াগুলি থেকে মোদী-অমিত শাহ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
লাতুর জেলার অওসা-এর জনসভায় তিনি দাবি করেন, গাড়ি শিল্প, বস্ত্র শিল্প, হীরক শিল্প - সবই ধুঁকছে। কিন্তু, মোদী এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেন না। সংবাদমাধ্যমেও এইগুলি নিয়ে খবর করতে দেওয়া হয় না।
বেকারত্ব গত ৪০ বছরে সবচেয়ে বেশি, তা নিয়েও কাউকে কিছু বলতে দেওয়া হয় না। যুবরা কাজ চাইলে তাঁদের চাঁদ দেখতে বলছেন মোদী। ৩৭০ ধারা বাতিল, চন্দ্রযান নিয়েই চর্চা দিয়ে দেশের আসল সমস্যাগুলিকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
গত লোকসভা ভোটে রাহুলই ছিলেন কংগ্রেসের প্রচারের প্রধান মুখ। কিন্তু ৫৪৩ লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র ৫৩টি আসন লাভ করেছিল কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে মাত্র ১টি জুটেছিল কংগ্রেসের। এরপর রাহুলের পদত্যাগে আরই ঝিমিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। গত সপ্তাহেই ভোটের মুখে কংগ্রেসের আরও বেশ কিছু নেতা-কর্মী দল বেঁধে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। গত তিন মাসে কংগ্রেস থেকে বিজেপি হবা শিবসেনায় যোগ দেওয়া অন্তত ৮ জন নেতা বিজেপি-শিবসেনার হয়ে প্রার্থী হয়েছেন। কংগ্রেসও মহারাষ্ট্রে বিশেষ আশা রাখছে না। রাহুল ছাড়া এতদিন আর কোনও কংগ্রেসের জাতীয় নেতা মহারাষ্ট্রে প্রচারেও আসেননি