শুকিয়ে যাচ্ছে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের স্বপ্ন, বিশ্বব্যাঙ্কের হিসেবও ভাঁজ বাড়ালো মোদীর কপালের

  • ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের ভারতের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ
  • বিশ্বব্যাঙ্কের দাবি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াবে ৬ শতাংশে
  • ২০১৭-১৮ সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.২ শতাংশ
  • পর পর দুই বছর বেশ অনেকটা করে আর্থিক বৃদ্ধির হার পড়ল

 

amartya lahiri | Published : Oct 13, 2019 11:36 AM IST / Updated: Oct 13 2019, 05:13 PM IST

হাউডি মোদী অনিুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন ভারতে 'সব খুব ভালো'। কিন্তু, বাদ বাকি সব ছেড়ে দিলেও, শুধুমাত্র অর্থনীতিই যে ক্রমে ডুবে যাচ্ছে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বিশ্বব্যাঙ্কের দেওয়া সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে।

২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের ভারতের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। রবিবার বিশ্বব্যাঙ্ক জানালো সামনের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে এই বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াবে ৬ শতাংশে। এর আগে ২০১৭-১৮ সালে আর্থিক বৃদ্ধির এই হার ছিল ৭.২ শতাংশ। অর্থাৎ, পর পর দুই বছর বেশ অনেকটা করে আর্থিক বৃদ্ধির হার পড়ল।

আরও পড়ুন - বক্সঅফিস কালেকশন দিয়ে অর্থনীতির পিঠ চাপরানি, হাওয়া গরম হতেই পিছিয়ে গেলেন মন্ত্রী

আরও পড়ুন - 'হাউডি'র মঞ্চে মোদীর দাবি ভারতে 'অল ইজ ওয়েল', সত্যিই কি তাই, কী বলছে অঙ্ক

আরও পড়ুন - আইনস্টাইন মাধ্যাকর্ষণ অঙ্ক, সব গুলিয়ে হাসির পাত্র পীযূষ গয়াল, তবে অর্থনীতির জন্য ভয়ের ব্যাপার

তবে কিছুটা আশার কথাও আছে তাদের হিসাবে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের দাবি, ২০২১ সালের মধ্য়েই ভারতের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ফের গিয়ে দাঁড়াবে ৬.৯ শতাংশে। আর ২০২২-এ আরেকটু বেড়ে ৭.২ শতাংশে। সামনেই ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড বা আইএমএফ-এর সঙ্গে বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক বৈঠক রয়েছে। তার আগেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।       

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জিএসটি ও বিমুদ্রাকরণই ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গে জুটেছে গ্রামীন অর্থনীতির চাপ ও শহরাঞ্চলে বাড়তে থাকা যুবদের বেকারত্বের সমস্যা।

আগামী আর্থিক বছরেও ভারতীয়দের ব্যয়ের পরিমাণ বিশেষ বাড়বে না বলেই আশঙ্কা করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। কারণ, গ্রামীন এলাকায় আয় বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই। গাড়ি শিল্পের মতো বিভিন্ন শিল্পেই চাহিদা কমবে। নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও বিশেষ আশার কথা সোনাতে পারৈেনি বিশ্বব্যাঙ্ক। তবে মোদী সরকারের এফেক্টিভ কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর সাম্প্রতিক পদক্ষেপে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতে পারেন। 

Share this article
click me!