এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রকে একটি সমন পাঠিয়েছে। কমিটির সম্মত হয়েছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি উঠেছে সেগুলি খুবই গুরুতর।
নগদের বিনিয়ম প্রশ্ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে আগামী ৩১ অক্টোবর লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রকে একটি সমন পাঠিয়েছে। কমিটির সম্মত হয়েছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি উঠেছে সেগুলি খুবই গুরুতর। তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। সূত্রের খবর এদিন প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এথিক্স কমিটি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। এদিন এথিক্স কমিটি বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী জয় অনন্ত দৈহাদ্রির বক্তব্য শুনেছে। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এই দুজনেই অভিযোগ করেছিলে। তাদের অভিযোগ ছিল টাকার বিনিয়ম মহুয়া সংসদের একাধিক প্রশ্ন করেছেন।
মহুয়া মৈত্রে বিরুদ্ধে অভিযোগ
নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ঘুষের টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেন। তিনি টাকার বিনিময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হেনস্থা করার কাজ করেছেন। দুবের অভিযোগ আদানি ইস্যুতে প্রশ্ন করার জন্য ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা নিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। এই কাজের মধ্যে দিয়ে মহুয়া মৈত্র সংসদের অবমাননা করেছেন। এটি একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বলেও সওয়াল করেন। এই মর্মে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের জন্য নিশিকান্ত দুবে ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সংসদ প্রায় ২ কোটি টাকা, দামি আইফোন ঘুষ হিসেবে পেয়েছেন। পাশাপাশি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মহুয়াকে ব্যবসায়ী ৭৫ লক্ষ টাকাও দিয়েছেন।
মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনজীবী অনন্ত দেহাদরির অভিযোগ হল, দুবাইয়ের ভারতীয় ব্যবসায়ী দর্শন হিরনান্দানির থেকে টাকা আর উপহার নিয়েই লোকসভায় ৬১টির মধ্যে ৪৬টি প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া। এই প্রশ্নগুলি সবই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।সাংসদ ব্যবসায়ীকে তার লোকসভা অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস দিয়েছিলেন যেখানে প্রশ্নগুলি সরাসরি হিরনন্দানি বা মহুয়া তার নির্দেশে পোস্ট করেছিলেন। এমনটাও দাবি করা হয়েছে।